ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ওয়ালটন নিয়ে ড. জাফর ইকবাল ও ড. কায়কোবাদের উচ্ছ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ২৫ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১২:৩২, ২৫ নভেম্বর ২০২১

দেশের দুই খ্যাতিমান অধ্যাপক। বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসটিংগুইশড প্রফেসর ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। গাজীপুরের চন্দ্রায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওয়ালটন কারখানায় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের আয়োজনে ‘ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট-২০২১’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তারা।

সামিটে সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার রোডম্যাপ তুলে ধরেন ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের কর্মকর্তারা। ওয়ালটন পণ্যের প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পেশ করা হয় ওই সামিটে।  ওয়ালটনের অগ্রযাত্রা দেখে মুগ্ধ হন এই দুই অধ্যাপক।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করছে ওয়ালটন। ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। 

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের উন্নয়নের জন্য শ্রমের পাশাপাশি প্রয়োজন মেধা ও দক্ষতার প্রয়োগ। এজন্য দরকার বিস্তৃত পরিসরের গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম। উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার মাপকাঠি হলো তার রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কার্যক্রম। এ ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

তিনি বলেন, প্রতিটি পণ্যের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগ। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন বিষয়টি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। এটা আমার জীবনের সেরা সময়। আমার জীবনে দীর্ঘকাল ধরে লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন এই রিসার্চ অ্যান্ড  ইনোভেশন সেন্টার। ওয়ালটন সেই স্বপ্নপূরণ করেছে। ওয়ালটন সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আরও ব্যাপকভাবে তুলে ধরতে পারবে এই সেন্টারের মাধ্যমে। যদিও রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাজে চ্যালেঞ্জ অনেক। ওয়ালটনের তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

এদিকে, দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন নিয়ে গর্ববোধ করলেন অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। তিনি বলেন, প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী বিপণনে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোল্যাবরেশনে কাজ করতে পারে ওয়ালটন। এভাবে এগিয়ে যেতে পারে শিল্পখাত। এতে শিল্পখাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় দুটিই উপকৃত হবে।

ড. কায়কোবাদ বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এলে গর্বে বুকটা ভরে যায়। কয়েকবার এসেছি এই কারখানায়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে। ওয়ালটন সেই দক্ষতাকে আরও উন্নত করার কাজটা করছে। ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হওয়ার সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। দেশের প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। মেধার বিকাশ ঘটছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্ববোধ করছি যে ওয়ালটনের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমাদের আছে।

ওয়ালটনের ওই সামিটের স্লোগান ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’। সামিটে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অভাবনীয় অগ্রগতি, পণ্য উৎপাদনে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণাকর্ম আর উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রদর্শন এবং এসংক্রান্ত জ্ঞানের বিনিময় হয়েছে। দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দেন ওয়ালটনে কর্মরত প্রায় এক হাজার প্রকৌশলী। ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিটে দর্শকদের জন্য সাজানো বিভিন্ন প্রোডাক্টের বুথ ঘুরে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন  অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক ড. কায়কোবাদসহ অন্যান্য অতিথিরা।

মাহফুজ/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়