ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজস্ব আদায় ভালো, কমতে পারে বাজেটের আকার

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১৩ জানুয়ারি ২০২২  
রাজস্ব আদায় ভালো, কমতে পারে বাজেটের আকার

চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার দেড় থেকে দুই শতাংশ কমানো হতে পারে। এর আগের অর্থবছরগুলোতে সংশোধিত বাজেটের আকার মূল বাজেটের চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কম হয়। রাজস্ব আদায় ভালো হওয়ায় চলতি অর্থবছরের বাজেট খুবই অল্প কাটছাঁট করা হবে। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকারও যথাসম্ভব কম হ্রাস করা হবে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার নির্ধারিত রয়েছে ছয় লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি কমিয়ে ৫ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।  ফলে মূল বাজেটের চেয়ে সংশোধিত বাজেটের আকার কমছে এক দশমিক ৬ শতাংশ।  অন্যদিকে এডিপির আকার প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে।  চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার রয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। এটি কমিয়ে দুই লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে।  বছরের শেষ দিকে এটি কিছুটা বাড়তে পারেও বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় প্রবণতা এখন পর্যন্ত ভালো। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গেল ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছি।  প্রাথমিক হিসাবে আমরা দেখেছি এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।  আশা করা হচ্ছে, অর্থবছরের বাকি ছয় মাসে রাজস্ব আদায় প্রবণতায় একই ধারা বিদ্যমান থাকবে। এই বাস্তবতায় এবার বাজেট কাটছাঁট কম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব বেশি হলে কমবে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর খাতে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।  অর্থবছর শেষে আদায় হতে পারে তিন লাখ টাকার কিছু বেশি, যা কিনা আশাব্যঞ্জক মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।  রাজস্ব আদায়ের ওপর ভরসা করেই এবার বাজেট কাটছাঁট কম করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  সব শেষে হিসাবে চলতি অর্থবছরে জুলাই-নভেম্বর সময়কালে বাজেট ঘাটতি হয়েছে ৯ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে হয়েছিল ১২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।  মূলত রাজস্ব আদায় ভালো হওয়া এবং ব্যয় কম হওয়ার কারণে এবার বাজেট ঘাটতি কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেট আকারের একটি প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।  বাজেটের প্রাথমিক আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে যা রয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।  আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে যা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে যা রয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, চলতি অর্থবছরে যা রয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

/হাসনাত/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়