ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘শেয়ারবাজারে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১৩ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৫:১৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
‘শেয়ারবাজারে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, আমাদের বাজার শুধুমাত্র ইক্যুইটি ভিত্তিক বাজার, ডেবট বলতে পারেন নেই। এটি একটি বড় দুর্বলতা। বিশ্বের অন্যন্য দেশে ইক্যুইটি ও ডেবট মার্কেট রেশিও সমান সমান। অনেক দেশে ডেবট মার্কেটে আকার ইক্যুইটির চেয়ে বেশি। দেশের শেয়ারবাজারে ডেবট মার্কেটের আকার বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের লেনদেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান সভাপতিত্ব করবেন।

সালমান ফজলুর রহমান বলেন, আমি যেখানেই যাই, সেখানেই শেয়ারবাজারের বড় দুটি সমস্যার কথা বলি। এর মধ্যে একটি হলো কাঠামোগত সমস্যা, অপরটি হলো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নির্ভর বাজার। তবে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডেবট মার্কেট উন্নয়নে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ম্যাচিউরড বাজারে প্রাতিষ্ঠানিকদের লেনদেনের পরিমাণ বেশি হয় এবং রিটেইলারদের কম হয়। সেখানে রিটেইলাররা ফান্ডের মাধ্যমে লেনদেন করেন। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক উল্টো। এ কারণে দেশের শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন হয় বেশি।

তিনি বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে করপোরেট হতে হবে। এখনো আমাদের দেশে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ব্রোকার মনে করা হয়। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই পোর্টফোলিও ম্যানেজ করেন। এটা ব্রোকারেজ হাউজগুলোর করা কথা। কিন্তু এজন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সত্যিকারের ইনস্টিটিউট হতে হবে। তাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি করতে হবে।

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সুদহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুদহার ১৭-১৮ শতাংশ বেশি বলে এক সময় বলতেন। এই বেশির কারণে খেলাপি ঋণ বেশি হয়।  যে কারণে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সুদহার কমানোর উদ্যোগ নেন।  যার ধারাবাহিকতায় সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ করে দেন।

তিনি আরও বলেন, এফডিআর’র সুদ হার এখন ৬ শতাংশ নিচে। তবে আমাদের সুকুক বন্ড থেকে ৯ শতাংশ হারে দেওয়া হবে।  এ কারণে বন্ডটি নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পাবলিকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাইনি। তবে প্রাতিষ্ঠানিকদের অংশগ্রহণ ভালো ছিল। পাবলিকদের সাড়া না পাওয়ার পেছনে সুকুক বন্ডটির বিষয়ে ভালোভাবে তুলে ধরতে না পারা কারণ হিসেবে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়। অথচ এফডিআরওয়ালাদের জন্য সুকুক বন্ডটি খুবই আকর্ষণীয়।

/এনটি/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়