ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিদেশে বিনিয়োগ: আবেদন করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২১:৫৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
বিদেশে বিনিয়োগ: আবেদন করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে

বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ রেখে বিধিমালা জারি করেছে সরকার। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের এক্সপোর্ট রিটেনশন কোটায় (ইআরকিউ) পর্যাপ্ত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। বিনিয়োগের প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

‘মূলধনী হিসাব লেনদেন (বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ) বিধিমালা, ২০২২’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এ নির্দেশনা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত দেশের সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ২৭ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে মূলধনী হিসাবের লেনদেন (বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ) বিধিমালা, ২০২২ জারি করেছে।

এ বিধিমালার আওতায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের রিটেনশন কোটা হিসাব থেকে বিদেশে ইক্যুইটি বিনিয়োগ করতে পরবে। এক্ষেত্রে কতিপয় শর্ত বিধিতে রাখা হয়েছে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাঁচ বছরের বার্ষিক গড় রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশ বা সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত নিট সম্পদের ২৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সে পরিমাণ অর্থ বিদেশে ইক্যুইটি হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে।

বিধিমালা অনুযায়ী আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিনিয়োগের প্রস্তাব ও আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১৫ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি রাখা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে অবহিত করাসহ পত্রের কপি আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে।

বিদেশে কোম্পানি গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা বিধিমালাতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদেশে গঠিত কোম্পানির সব পাওনা, যেমন: মুনাফা বা লভ্যাংশ, সুদ, শেয়ার বিক্রয়লদ্ধ অর্থ, বিনিয়োগ বিলুপ্তির ফলে অবশিষ্ট অর্থ, বেতন, রয়্যালটি, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি, পরামর্শ ফি, কমিশন ইত্যাদি অর্জিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে। বিনিয়োগের অপব্যবহার মানিলন্ডারিং হিসেবে গণ্য হবে।

এছাড়া, বিনিয়োগ সীমা, শেয়ারসহ নানা বিষয় বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এনএফ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়