ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেয়ার বাজারে প্রথম মুনি বন্ড ছাড়তে চায় আইআইএফসি

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০২, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২০:০৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
শেয়ার বাজারে প্রথম মুনি বন্ড ছাড়তে চায় আইআইএফসি

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে প্রথম মিউনিসিপাল (মুনি) বন্ড ছাড়তে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)। কোম্পানিটি গুলশান-২ এলাকায় প্রস্তাবিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট নির্মাণের জন্য মুনি বন্ড ছেড়ে শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় তিন একর জমিতে ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কেটের নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে আইআইএফসি। অধিকাংশ টাকা মুনি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছে কমিশন।

এ বন্ডের মাধ্যমে দেশে প্রথম মুনি বন্ড শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে মুনি বন্ড ইস্যুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিএসইসির বেশ আগ্রহ আছে। ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণে মুনি বন্ড ইস্যুর বিষয়টি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডি অনুমোদন করেছে।

ইতোমধ‌্যে এ বিষয়ে বিএসইসির সঙ্গে আইআইএফসির প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন আইআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন পাটওয়ারী। এছাড়া, ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।

সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মিউনিসিপাল বন্ড হলো আসল প্রাইমারি বন্ড। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেসব বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এসবের অধিকাংশই মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের বন্ড ইস্যু করা হয়নি। এ ধরনের প্রথম বন্ড অনুমোদন দিয়ে আমরা শুরু করতে চাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান- ২ এলাকায় ৩ একর জমির ওপর মার্কেট নির্মাণ করা হবে। সেখানে সব সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে, কনফারেন্স সেন্টার, মিটিং সেন্টার, শপিং মল ইত্যাদি থাকবে। এজন্য আমরা বেশ আগ্রহী।’

প্রসঙ্গত, মুনি বন্ড হলো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জারি করা ডেট সিকিউরিটিজ। এ বন্ড থেকে সংগৃহীত অর্থ দেশের হাইওয়ে, ব্রিজ, স্কুল নির্মাণসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়। এ বন্ডের মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে। মুনি বন্ডের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই ফেডারেল ট্যাক্স এবং রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে বন্ডটি উচ্চ আয়কর দেওয়া ব্যক্তিদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হবে।

এনটি/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়