সরকারি ব্যয় সংকোচনে দুই পরিপত্র জারি
বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ রাখার পাশাপাশি সব উন্নয়ন প্রকল্পের সভার সম্মানী ভাতা দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা-১১ থেকে আলাদা দুটি পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারের এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার তিনদিনের মাথায় জারি করা পরিপত্র দুটি শিগগির কার্যকর হবে বলে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের লক্ষ্যে’ এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে আপ্যায়ন ও ভ্রমণ ব্যয়, কম্পিউটার ও আসবাবপত্রসহ অন্যান্য কেনাকাটায় বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপসচিব জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন কমিটির সম্মানী বাবদ ব্যয় স্থগিতকরণ শীর্ষক পরিপত্রে বলা হয়, ‘২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প/কর্মসূচি/স্কিমের ক্ষেত্রে '৩২৫৭২০৬-সম্মানী' অর্থনৈতিক কোডের বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না।’
অপরদিকে একই বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত অপর পরিপত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি কেনা বন্ধ রাখাসহ সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কিছু খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখা হবে। খাতগুলো হল-
১.নতুন অথবা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন কেনা (‘৪১১২১০১-মোটরযান’, ‘৪১১২১০২-জলযান’, '৪১১২১০৩-আকাশযান') বন্ধ থাকবে।
২.শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় ‘৩২১১১০৬-আপ্যায়ন ব্যয়’, ‘৩২৪৪১০১-ভ্রমণ ব্যয়’, ‘৩২৫৫১০৫-অন্যান্য মনিহারি’, ‘৪১১২২০২-কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক’, ‘৪১১২৩০৩-বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি’ ও ‘৪১১২৩১৪-আসবাবপত্র’ খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
৩.দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ‘৩২৩১৩০১-প্রশিক্ষণ’ খাতে (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) বরাদ্দকরা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। এসব খাতে বরাদ্দ করা অর্থ অন্য কোনো খাতে পুনঃউপযোজন করা যাবে না।
ঢাকা/হাসনাত/নাসিম
আরো পড়ুন