ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা কমেছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ১৩ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ০৯:০৬, ১৩ আগস্ট ২০২২
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা কমেছে

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা কমছে। এরপরও এখনও রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের লোকসানি শাখা রয়েছে ১৬০টি। লোকসানি শাখা সবচেয়ে বেশি জনতা ব্যাংকের। এক বছরের ব্যবধানে লোকসানি শাখা কমেছে ৩৩টি। ২০২০-২০২১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ১৯৩টি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ১৬০টি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) আওতায় চলতি অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ২৫টির মধ্যে, জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখা ৫০টির মধ্যে, অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ৩৫টির মধ্যে, রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ৩০টি, বেসিক ব্যাংকের লোকসানি শাখা ২০টি এবং বিডিবিএলের লোকসানি শাখা ১৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় ২০২২ সালের জুন শেষে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানি শাখা স্থিতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭৫টি। সে হিসাবে সার্বিকভাবে ব্যাংকগুলোর অর্জন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরে পাঁচটি ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা আগের অর্থবছরের তুলনায় কমেছে, তবে বেড়েছে শুধু বিডিবিএলের। সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৯টি। এপিএর আওতায় বিডিবিএলের লোকসানি শাখা ১৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে গত জুন শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ২২টি। এর আগের ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ছিল ১৩টি।

অন্যদিকে, লোকসানি শাখার সংখ্যা কমলেও এখনও সবচেয়ে বেশি লোকসানি শাখা জনতা ব্যাংকের। ২০২১-২০২২ অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ৫৬টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ৪৮টি। সে হিসাবে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা লক্ষ্যমাত্রার ভেতরেই রয়েছে। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ৫৪টি।

এপিএর আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছর শেষে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০টি। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ১৮টি। 

গত অর্থবছরে অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০টি। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ২৫টি। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ছিল ৪৬টি। একই সময়ে রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০টি। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ১৮টি। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা ছিল ২৮টি।

সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২০২২অর্থবছরে বেসিক ব্যাংকের লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪টি। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা দাঁড়িয়েছে ২৯টি। 

এদিকে, ব্যাংকগুলো আগের অর্থবছরের তুলনায় লোকসানি শাখা কমিয়ে আনলেও চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করা হয়েছে। এপিএর আওতায় ২০২৩ সালের জুন শেষে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানি শাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৫টি। অথচ বর্তমানে ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা হচ্ছে ১৬০টি। চলতি অর্থবছর শেষে ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা আরও ১৫টি বাড়লেও সেটি লক্ষ্যমাত্রার ভেতরেই থাকবে। 

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়