ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মানি এক্সচেঞ্জে ডলারের সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৮, ১৭ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ২২:৩৯, ১৭ আগস্ট ২০২২
মানি এক্সচেঞ্জে ডলারের সর্বোচ্চ মুনাফার হার নির্ধারণ

প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা মুনাফা করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। এতদিন ডলার বেচাকেনায় নিজেদের ইচ্ছামতো মুনাফা করলেও এখন থেকে তা করতে পারবে না এসব প্রতিষ্ঠান। 

বুধবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মানি এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য ডলার বেচা-কেনায় ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক যে দরে ক্যাশ ডলার বিক্রি করবে সেই দরকে বেঞ্চ মার্ক ধরে তার চেয়ে ১ টাকা বেশি দরে কিনতে পারবে এবং সর্বোচ্চ ১.৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো। 

তিনি জানান, ডলার সংকট নিরসনে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া বৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ২৩৫টি অথচ কাজ করছে ৭০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে তারা শাটডাউন করেছে। আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

গত ১৪ আগস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠক করেছে। সেখানেই ব্যাংকগুলো যে দরে ডলার কিনবে, তার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের একটি সিলিং করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। যা ব্যাংকগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ১ টাকা নির্ধারণ হয়। সব ব্যাংক এটি ফলো করবে বলে তারা জানিয়েছেন। আজকের বৈঠকে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এদিকে, আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম ৯৫ টাকা হলেও গেল সপ্তাহে খোলা বাজারে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় উঠে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। তবে গত রোববার থেকে খোলাবাজারেও ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। আজ খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিমও কাজ করছে। ডলারের সংকট ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাবাহিকতায় ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারণ, কিছু মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৪৫টি মানি এক্সচেঞ্জ হাউজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাতে কেউ কৃত্রিমভাবে ডলার সংকট না করতে পারে তার জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মেও নজরদারি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

এনএফ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়