ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’ পালন কর্মসূচি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  
ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’ পালন কর্মসূচি শুরু

বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস উপলক্ষে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেড কোয়ার্টারে ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’ পালন কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারের প্রশাসন এবং এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের যৌথ আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে নিজ কর্মস্থলসহ আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২) ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’ পালন কর্মসূচি শুরু করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে ওয়ালটন মেডিক্যাল সেন্টারের ইনচার্জ ডা. মো. নূরুল আমিন বলেছেন, ‘নিরাপদ কর্মক্ষেত্র কর্মচারীদের বহু গুণে উৎসাহিত করে। নিজ দায়িত্বের প্রতি তারা আরও মনোযোগী হন। কর্মক্ষেত্র সব সময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। কেননা, কর্মচারীরা একটা দীর্ঘ সময় ধরে কর্মক্ষেত্রে থাকেন। সেক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে জমে থাকা ধুলাবালিতে তাদের নানাবিধ অসুখ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে তারা কাজে আরও মনোযোগী হবেন এবং নিজ কর্মক্ষেত্রের প্রতি তাদের ভালোবাসা তৈরি হবে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে নিজেরাই সংক্রামক রোগব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। সুতরাং, কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রভাব শুধু আপনার ইমেজের ওপরই নয়, বরং অফিসের ভেতরে কর্মরতদের ওপরও সমান কার্যকরী ও শক্তিশালী।’

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারের পাবলিক রিলেশন সেকশনের ইনচার্জ মো. মহসিন আলী মোল্লা বলেন, ‘আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা একমাত্র সমাধান নয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা খুবই দরকার। অফিসে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা এবং কর্মক্ষেত্রের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. লিটন মোল্লা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধু একটি দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। বছরব্যাপী এটা নিশ্চিত করা অতি জরুরি। সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মক্ষেত্র এবং এর আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখার জন্য সকল ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। যা অফিসের ভেতরে এবং বাহিরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার রুটিন চেকআপ হিসেবে কাজ করবে।’

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারের প্রশাসন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইয়াছির আল ইমরান বলেন, ‘কর্মক্ষেত্র এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি সব সময়ই আপনার সার্ভিস এবং ব্যবহার দিয়ে ক্লায়েন্টের মন জয় করে থাকেন। ঠিক তেমনই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তামূলক ইতিবাচক পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্লায়েন্টের ওপর ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারেন। যখন কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আপনি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তার একটি ইতিবাচক ইমেজ আপনার ব্র্যান্ডকে প্রদান করে। অধিকাংশ সময় কাস্টমাররা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক কাজ দেখে সেই কর্মক্ষেত্র সম্বন্ধে তারা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। যা একটি ব্যান্ডকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। তাই কর্মক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।’

আশপাশের ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার, অফিস পরিদর্শন ও পরিষ্কার এবং ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করার মাধ্যমে ‘বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি সমাপ্ত হবে।

একরাম/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়