ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সরকারি দুই বিভাগের পূর্ত কাজের দর নির্ধারণ  

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৫ অক্টোবর ২০২২  
সরকারি দুই বিভাগের পূর্ত কাজের দর নির্ধারণ  

দশ শর্তে তিন বছর মেয়াদে ‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দর তফসিল-২০২২’ এবং ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দর তফসিল ২০২২’ নামে দুটি দর তফসিলে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে কোন পূর্ত কাজ এই দর তফসিল অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এই দর বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে অর্থ বিভাগ।

সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথের বিশেষায়িত কাজ বাদে সব ভিত্তি আইটেম বা ম্যাটেরিয়াল দর এবং কার্য বাস্তবায়ন আইটেম দরের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ আগের নির্ধারিত দর এই তফসিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সময়ে সময়ে অর্থ বিভাগ পুনঃনির্ধারিত দরও এ তফসিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রাক্কলন প্রণয়নের সময় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে রিটেল (খুচরা) মূল্য প্রযোজ্য হবে।

অর্থ বিভাগ থেকে বিভিন্ন দফতরের জন্য এরই মধ্যে অনুমোদিত দর তফসিলগুলোর তুলনামূলক বিচারে যেকোনো আইটেমের একক দরে (বাল্ক ও রিটেইল) যদি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় সেক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ যে সংস্থার দর তফসিল সর্বশেষ অনুমোদিত হয়েছে সে দর তফসিলের অনুমোদিত দর প্রযোজ্য হবে।

এ সংক্রান্ত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, দর তফসিলের অন্তর্ভুক্ত আইটেমগুলোর ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), আয়কর, শুল্ক ও অন্যান্য ডিউটি প্রযোজ্য হবে। আইটেমগুলোর স্পেসিফিকেশনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) এবং দেশে প্রচলিত অন্যান্য কোডসমূহ অনুসরণ করতে হবে। অনুমোদিত দর তফসিল অনতিবিলম্বে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েব সাইটে আপলোড করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সরকারি পূর্ত কাজে একটি অভিন্ন দর নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারের পূর্ত বা বিভিন্ন নির্মাণ কাজের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা বিরাজ করছে। দেখা গেছে, একটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের একটি কাজের দর-তফসিল ১০ বছরে ২০ বার পরিবর্তন করা হয়েছে। আবার কোনোটি পাঁচবার পরিবর্তন করা হয়েছে। একই কাজে দর-তফসিল মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ভেদে তারতম্য হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি।

এ কারণে পরবর্তীতে অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটির জন্য ছয়টি কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পরিধির মধ্যে রয়েছে-বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত খসড়া দর-তফসিল পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করা এবং বিভিন্ন আইটেমের একক দর চূড়ান্ত করা। পূর্ত কাজের জন্য বিভিন্ন দপ্তর দর-তফসিলের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। প্রাপ্ত খসড়া দর-তফসিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থায় কত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে তা নির্ধারণ করা। চূড়ান্ত দর-তফসিল প্রয়োগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা সংস্থার মধ্যে কোনো প্রকার জটিলতা সৃষ্টি হলে তা সমাধান করা। 

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়