জ্বালানির ২০ শতাংশ বাজার দখল করতে চায় লুব-রেফ

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৫ সালের মধ্যে লুব্রিকেন্টস বাজারের ২০ শতাংশ দখল করতে চায়। এ লক্ষ্যে আধুনিক পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইউসুফ।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে বিসিক শিল্প নগরীতে কোম্পানির কারখানা প্রাঙ্গণ থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে লুব্রিকেন্টসের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। লুব্রিকেন্টস শিল্পে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করে বিদেশে রপ্তানি করার লক্ষ্যে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চায় লুব-রেফ। ইতিমধ্যে ‘বিএনও’ ব্র্যান্ডে বাজারজাত করা এ কোম্পানিটি ৪০০ কোটি টাকার বিনিয়োগে বেজ অয়েল রিফাইনারি প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।’

লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, পেট্রোকেমিক্যাল ও লুব্রিক্যান্ট শিল্পে তাদের প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা। স্থানীয় প্লান্টে বিশ্বমানের লুব্রিক্যান্ট প্রস্তুত করে এরইমধ্যে বাজারের আস্থা অর্জন করেছে লুব-রেফের ব্র্যান্ড ’বিএনও’।

এই খাতের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কর্ণফুলি নদীর তীরে একটি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল থিম পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সর্বপ্রথম বেজঅয়েল রিফাইনারি ও বিশেষায়িত বিটুমিন প্লান্ট ও ১ লাখ টনের একটি টার্মিনাল প্রস্তুতের উদ্যেগ হাতে নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

এসব প্রকল্পের পুঁজি সংগ্রহের লক্ষ্যে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা ইতিমধ্যে বিন্ডিংয়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩১ টাকা ৯৩ পয়সা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তির মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) ২৫ টাকা ৯৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৮ পয়সা।

বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নীট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ওয়েটেড এভারেজ ইপিএস) ২ টাকা ২৩ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা এ কোম্পানিটি মেটিরিয়াল রির্সোচ ও মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ভাবনমুখী লুব্রিকেটিং পণ্য উৎপাদন করে দেশের শিল্প উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানসহ রাজস্ব খাতে বড় অবদান রাখছে বলে দাবি করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।