ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘পুঁজিবাজারে বড় সমস্যা—প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাব’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১১, ৩ অক্টোবর ২০২০  
‘পুঁজিবাজারে বড় সমস্যা—প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাব’

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নেন সালমান এফ রহমান

‘দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটে (পুঁজিবাজার) বড় সমস্যা হচ্ছে—প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অভাব। এখানে রিটেইল ইনভেস্টর অনেক বেশি। অথচ অন্যান্য দেশে যতগুলো ম্যাচিউরড, ইমার্জিং, ফ্রন্টিয়ার মার্কেট আছে, সব জায়গায় ৮০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। আমাদের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়াতে হবে।’

শনিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজারের একটি দুর্বলতা হচ্ছে—মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর কাঠামোও হাস্যকর। যেমন আইএফআইসি ব্যাংকের একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড আছে। কিন্তু এর কাঠামো এমনভাবে করা, যেখানে আইএফআইসি ব্যাংকের কিছু করার নেই। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে আইএফআইসি ব্যাংক একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড করবে কেন? এটি ব্যাংকের জন্য ঝুঁকির বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট দেশের অর্থনীতির জন্য যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা কেউ অস্বীকার করবে না। এই মার্কেটকে শক্তিশালী করা খুবই দরকার।’

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছে। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রে তা হয়নি। এর মধ্যে একটি হলো—ট্যাক্স টু জিডিপি রেশিও এবং অপরটি ক্যাপিটাল মার্কেট জিডিপি রেশিও। এ নিয়ে অন্যান্য দেশ প্রশ্ন তোলে। কারণ, উন্নত দেশগুলোতে এই দুই ক্ষেত্রও এগিয়েছে।’

রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ক্যাপিটাল মার্কেটের অনেক সমস্যা আছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘বন্ডে স্ট্যাম্প ডিউটি কমানো হলেও ট্রান্সফার ফি ২.৫০ শতাংশ রয়ে গেছে। বন্ড লিস্টেড করে ট্রান্সফার করতে যদি ২.৫০ শতাংশ লাগে, তাহলে এই মার্কেট উন্নত করা কঠিন। এটা জিরো শতাংশ হওয়া উচিত। এটা দ্রুত করা উচিত।’

সভা সঞ্চালনা করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিশনার ড. মিজানুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির (এএএমসি) সহ-সভাপতি হাসান ইমাম প্রমুখ।

ঢাকা/এনটি/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়