ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডিএসই-সিডিবিএলকে কর্মীদের ২২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
ডিএসই-সিডিবিএলকে কর্মীদের ২২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) তাদের কর্মীদের প্রাপ্য সাড়ে ২২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের একটি নিরীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দুটিকে শোকজ করেছে কমিশন।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মীদের মুনাফার অংশ বণ্টন বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম সম্পাদন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে অবহিত করতে বলেছে বিএসইসি।  সে হিসাবে ডিএসই ও সিএসইকে মঙ্গলবারের (২ মার্চ) মধ্যে কর্মীদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএসই ও সিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও সিডিবিএল ডিপোজিটরি আইন, ১৯৯৯-এর অধীনে পরিচালিত হয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম সম্পাদন করছে।  কিন্তু প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের বিধান রয়েছে। এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন-২০১৩ অনুসারে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়।  এর মধ্যে ডিএসই লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ হিসাব বছর পর্যন্ত শ্রম আইনের ধারা ২৩২-২৫২ পরিপালন করে কোম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করে এসেছে।  এটি ডিএসইর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের আগের সব আর্থিক বিবরণীতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) খাতে খরচ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।  কিন্তু ২০১৯ সালে তা পরিপালন করা হয়নি।  এ বিষয়ে বাণিজ্যিক অধিদপ্তরের একটি অডিট আপত্তি হাতে পেয়েছে বিএসইসি।

এদিকে, বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলেছে, ডিএসই ও সিডিবিএল শ্রম আইন ভঙ্গ করে কোম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করেনি।  এর ফলে কর্মচারীরা মোট ২২ কোটি ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৪১২ টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

অধিদপ্তর বলেছে, বিএসইসির নিয়ন্ত্রণাধীন ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের ২০১৭-১৮ থেকে ২০২৯-২০ হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণী যাচাই করে দেখা গেছে, ডিএসই ও সিডিবিএল শ্রম আইন ভঙ্গ করে কোম্পানির মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মীদের মধ্যে বণ্টন না করায় ২২ কোটি ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৪১২ কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তানিম/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়