ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘মুনাফা যাচাইয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের সচেতন হতে হবে’ 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৪, ৮ মার্চ ২০২১  
‘মুনাফা যাচাইয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের সচেতন হতে হবে’ 

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন করা কোম্পানিগুলোর আর্থিক হিসাবে অতিরঞ্জিত মুনাফা যাচাইয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সোমবার (৮ মার্চ) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে ইস্যু ম্যানেজারদের নিয়ে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, নিরীক্ষকের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর না করে আইন অনুযায়ী ইস্যু ব্যবস্থাপককে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা ও যর্থাথতা যাচাই করতে হবে। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন রিপোর্টের সঙ্গে আর্থিক প্রতিবেদন, ব্যাংক স্টেটমন্টে, বিল ও অন্যান্য প্রতিবেদনের অসঙ্গতি আছে কিনা তাও তাদের দেখতে হবে।

বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, আপনাদের যাচাই-বাছাইয়ের ওপর নির্ভর করেই নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি আপনাদের ওপরই নির্ভর করে।


তিনি বলেন, আইপিওতে আসার আগে অনেক কোম্পানি কৃত্রিম বিক্রি দেখায়। এর সঙ্গে দেনাদারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এভাবে মুনাফা বাড়িয়ে দেখালেও অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো আবার নেগেটিভও দেখা যায়। যাতে করে বোঝা যায় কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা। এছাড়াও অপচয় ও বিভিন্ন ব্যয় কমিয়ে মুনাফা বেশি করে দেখানো হয়। অনেক সময় মজুদ পণ্যও বেশি করে দেখানো হয়। এসব বিষয়গুলো ইস্যু ম্যানেজারদের ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দেন তিনি।

বিডিংয়ে (নিলাম) কোম্পানির কাট-অব প্রাইস নির্ধারণে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘একটি কোম্পানির বিডিংয়ে সব যোগ্য বিনিয়োগকারী ৩২ টাকা করে দর প্রস্তাব করলেন। দু-একজন আবার ৩৮ টাকাও দর প্রস্তাব করেছেন। অথচ শেয়ারবাজারে ওই কোম্পানির হোল্ডিং কোম্পানির শেয়ার ২৫-২৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে হোল্ডিং কোম্পানির শেয়ার ২৫-২৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে ওই কোম্পানিতে কেন এত দরে প্রস্তাব করা হলো, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।’ 

রেজাউল করিম বলেন, একটি কোম্পানি ৭ কোটি টাকার জমি দেখায়, সেই কোম্পানিই আবার ওই জমির উন্নয়নে ৪০ কোটি টাকা দেখায়। সম্পদ বেশি করে দেখানোর জন্য এমনটি করা হয়। যা সরেজমিন যাচাইয়ে প্রকৃত অবস্থা বেরিয়ে আসবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।
 

এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়