ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছেন সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

আপাতত আন্দোলন স্থগিত করলেও আগামীকাল সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজকে অধিভুক্ত করা হলেও নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর জীবন হুমকিতে পড়েছে।

শিক্ষার্থীদেরপাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে। তারা উল্লেখ করেছেন- ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফল ২০১৮ সালে প্রকাশিত হলেও সব বর্ষে পাশ থাকা সত্বেও এখনো অনেকের সিজিপিএ আসেনি। তাই দ্রুত সিজিপিএ সমন্বয় করতে হবে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই শেষ হলেও এখনো সকল বিভাগের ফল প্রকাশিত হয়নি।

২। ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ইডেনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ৩০০ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে শুধু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ফেল করার পর পুনরায় সবার খাতা নিরীক্ষণের আবেদন করেন। পরে প্রকাশিত ফলাফলে ৩/৪ জন ছাড়া সবাই পাশ করেন।

৩। সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন চাই। স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন না থাকায় সাত কলেজের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। যেমন: ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের মাস্টার্স এবং ডিগ্রি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালে এসেও এখনো হয়নি।

৪। প্রতিমাসে প্রত্যেকটা বিভাগে প্রতি কলেজে দুই দিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। এটা যদি ঢাবির পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে সাত কলেজের প্রশ্ন প্রণয়ন এবং খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব অবশ্যই সাত কলেজের শিক্ষকদের দিতে হবে।

৫। সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৯/ইয়ামিন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়