ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অধিকার কারো নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৬, ৯ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টির অধিকার কারো নেই’

শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয়ে কে কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নাটক সাজিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করছে তার খবর আমাদের কাছে আছে।

শনিবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, যে প্রকল্পে অর্থ ছাড় হয়নি সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যারা ক্যাম্পাসে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কিন্তু অরাজকতা সৃষ্টির অধিকার কারো নেই। তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা নেবে।

শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে তথ্য-উপাত্ত ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। গতকাল রাতে শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিবের কাছে এ অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে তা এখনো দপ্তরে আসেনি। বর্তমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে গেলে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ সত্য হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপ-মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রকল্পে অর্থ ছাড় হয়নি, সেখানে দুর্নীতির সন্দেহের ভিত্তিতে অরাজকতা করা হয়েছে। সেজন্য কোথা থেকে অর্থ আসলো তা খুঁজে বের করা হয়েছে। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নৈতিক অবস্থান থেকে সরে গেছে, আমরা কাউকে সরাইনি বা সরে যেতে বলিনি। কে কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নাটক সাজিয়েছে তার খবর আমাদের কাছে আছে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি এই সরকার প্রশ্রয় দেবে না। আমরা ক্ষমতায় এসে প্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে অন্যায়-অনিয়ম দেখেছি। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এমন অনেকে পলাতক রয়েছেন।

তিনি বলেন, কিছু কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং আন্দোলন শুরু হয়েছে। নানা দাবিতে এসব আন্দোলন শুরু হলেও অনেক স্থানে তা উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা আমরা কামনা করি না। কারণ, উপাচার্যের পদত‌্যাগের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার যে মূল লক্ষ‌্য, সেটা বাস্তবায়ন হয় না।

‘সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ, অনেকে তালা ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকরা এসে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বললেও পরদিন থেকে আরো বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। পরিস্থিতি আরো বেশি জটিল করতে গভীর রাতে উপাচার্যকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়,’ বলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী।

আন্দোলন যৌক্তিক হলে তার প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ নিয়ে না এসে কেন ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে? ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমে কি সকল জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সম্ভব হবে?


ঢাকা/ইয়ামিন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়