ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বোরহানুদ্দীন কলেজে ৩ শিক্ষক প্রতিনিধি বিজয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৮, ২৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বোরহানুদ্দীন কলেজে ৩ শিক্ষক প্রতিনিধি বিজয়ী

রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে মার্কেটিং বিভাগের কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের শাহ উম্মে সালমা ইয়াসমিন এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. বদরুল ইসলাম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম বিজয়ীদের উত্তরীয় পড়িয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়েরই গভর্নিং বডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ অনুসারে সব শিক্ষকের সম্মতিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এই নির্বাচন করে।

ফলাফলে দেখা যায়, প্রার্থীদের মধ্যে কামরুল হাসান ৫৩, শাহ উম্মে সালমা ইয়াসমিন ৫০ এবং বদরুল ইসলাম ৪৯ ভোট পেয়েছেন। বাদল চন্দ্র অপু ১১ ও আবু নাঈম মো. রাফি ৮ ভোট পেয়েছেন। অপর দু’প্রার্থী শারমিনা কুলসুম চৌধুরী ১২ এবং ড. ছরোয়ার হোসেন ৭ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। মোট ৭৪ ভোটারের মধ্যে ৫জন ভোটদানে বিরত ছিলেন।

কলেজের জমি কেনা ও নানা উন্নয়নের নামে অর্থ ব্যয়ে অস্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। সাবেক সভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। রহস্যজনক কারণে গভর্নিং বডির সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধিদের পক্ষ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। যে কারণে সব শিক্ষক নির্বাচন চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গত নভেম্বরে বন্ধ করে দেয়া হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সংবিধি অনুসারে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের এখতিয়ার প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের।

কলেজের শিক্ষকরা বলছেন, কলেজে কয়েকজনের লুটপাটের একটি দুর্বৃৃত্ত চক্র গড়ে উঠেছে। ওই চক্রটিই প্রশ্রয় পাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর প্রমাণ হচ্ছে, কলেজে লুটপটেসহ বিভিন্ন বিষয়ে অর্ধশত শিক্ষক ভিসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং স্মারকলিপি দেন। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকি এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম আধা-সরকারিপত্র (ডিও) পাঠিয়েও ইতিবাচক সাড়া পাননি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করে স্বশরীরে ভিসির বাড়িতে গমন, একাধিকবার ডিও দেয়ার পরও তাকে সভাপতি করা হয়নি। অথচ এশিয়াটিক সোসাইটিপন্থী ব্যক্তিদের বার বার কলেজে সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে। এরফলে কলেজে সুশাসন নিশ্চিত বিঘ্নিত হচ্ছে বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, কলেজের ঘাড়ে এশিয়াটিক সোসাইটির ভুত চেপেছে। এটা ছাড়াতে সরকারের উর্ধ্বতন পর্যায়ের হস্তক্ষেপ দরকার।

শনিবার ভোটগ্রহণকালে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. সেলিম। এসময় আহমদ বাওয়ানী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুনশী মুকুল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা লায়লা আক্তার রাত্রি, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাগর আহমেদ শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন পরিচালক করেন সহযোগী অধ্যাপক মনিরুজ্জোহা, প্রভাষক ফারাহ নাজ ও আহাদ বিশ্বাস। পর্যবেক্ষক ছিলেন অধ্যাপক নুরুল হক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রায় ৯২ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সব শিক্ষকের ইচ্ছা এবং গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষকরা নির্বাচনের ব্যাপারে উদগ্রিব ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের ভালোর জন্যই ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সবাই সানন্দে ফলাফল গ্রহণ করেছেন। 


ঢাকা/ইয়ামিন/নাসিম 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়