ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নোবিপ্রবির ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও ১৯ জনকে জরিমানা

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১১ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নোবিপ্রবির ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও ১৯ জনকে জরিমানা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে  ৩৭ জন শিক্ষার্থীর  মধ্যে ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার, ৭ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং  ১২ জনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করার কথা উল্লেখ করা হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন রবিউল হক চৌধুরী (কৃষি), মো. জহিরুল ইসলাম (ব্যবসায় প্রশাসন), মো. আবদুর রহিম সিয়াম (কৃষি), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), কাজী আশরাফুল হক লিসান (ইএসডিএম), ইয়াসিন আরাফাত তারেক (ইএসডিএম), মো. শফিউর রহমান অন্তর (বিজিই), মো. সাইফুল্লাহ সনি (সিএসটিই), অর্নব সরকার (সমাজ কর্ম), মো. তৌহিদুল ইসলাম (কৃষি), মো. আল ইমরান (আইসিই), আবদুল্লাহ আল মাসুদ (ফলিত গণিত), ওমর ফারুক (কৃষি), মো. মিরাজ মাহতাব (ইংরেজি), আবদুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি), কে এস এম সায়েম (মাইক্রোবায়োলজী)।

৭ জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এরা হলেন মো. মুহাইমিনুল ইসলাম নুহাশ (ফার্মেসি), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (ব্যবসায় প্রশাসন), জাহিদ হাসান শুভ (ইএসডিএম), হাসানুজ্জামান বিপ্লব (ইএসডিএম), আতাউল করিম রনি (কৃষি), শাফকাত আবির (ইংরেজি), আব্দুল্লাহ আল নোমান (অর্থনীতি)।

১২ জনকে ৫ হাজর টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরা হলেন মো. আবদুল রহমান শিহাব (মাইক্রোবায়োলজী), কাজী মাহমুদুর রহমান রাহিম (মাইক্রোবায়োলজী), আবদুল্লাহ আল মাহদি (কৃষি), মো. আল আমিন (কৃষি), মো. শাকিল মোস্তফা মানিক (অর্থনীতি), ইয়াছিন আরাফাত (বিএলডব্লিউএস), আক্তারুজ্জামান জিসান (বিএলডব্লিউএস), মো. আলি (ইংরেজি), মো. জুবায়ের আহমেদ জনি (বিজিই), কামরুল হাসান (এফটিএনএস), আরফানুল হক (সিএসটিই), মো. এহতেশামুল হক শুভ (টিএইচএম)।

শাস্তির বিষয়ে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘আমরা তদন্তের ভিত্তিতে এই শাস্তি নির্ধারণ করেছি। শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিয়ে ভবিষ্যতে এরূপ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া কেউ যদি আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয় তার এক্টিভিটিজের আলোকে চিন্তা করবে।’

উল্লেখ্য, সিগারেট খাওয়া নিয়ে বিরোধে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হলে গত ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাস ছিল উত্তপ্ত। দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। গভীর রাত পর্যন্ত হলের ভেতরে ও বাইরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


নোবিপ্রবি/আহমেদ ফাহিম/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়