ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জাবি উপাচার্য অপসারণ দাবিতে আবারো বিক্ষোভ

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ১৩ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাবি উপাচার্য অপসারণ দাবিতে আবারো বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। এসময় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে।

সমাবেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এদিকে আন্দোলনের ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবুও আমাদের আন্দোলন থেমে যায়নি। এত বাঁধার পরেও আমাদের ন্যায়ের পক্ষের এ সংগ্রাম চলবে।’

এসময় অধ্যাপক রায়হান রাইন বুধবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘এখানে যে আন্দোলন হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষার আন্দোলন। প্রশাসন ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে, আবারো সবাই আন্দোলনে আসবে। সরকারের উচিত তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করে তা সম্পন্ন করার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল করা।’

ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সান বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিরোধী অবস্থানের কারণে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শুধু উপাচার্য নয় শিক্ষক হবার নৈতিক অধিকারকে বারবার ক্ষুন্ন করে তুলেছেন। আমরা ফারজানা ইসলামের অর্থনৈতিক দুর্নীতি সমেত আন্দোলনে সামিল হয়েছিলাম কিন্তু আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপরে অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নির্দেশে যে হামলা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে তার অপসারণ চাই। আমরা এই দাবিতে অটল আছি এবং থাকবো। কারো চোখ রাঙানি আমাদেরকে সেই পথ থেকে সরাতে পারবে না।'

ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করেছে। স্বৈরাচারী কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করছে সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। আমরা তাকে জানাতে চাই কোনরকম দমন পীড়ন করে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানো যাবে না। অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনকে ভয় পেয়ে গদি রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। গদি রক্ষার জন্য ষোল হাজার শিক্ষার্থীর ভোগান্তিকে উপেক্ষা করে হল ভ্যাকেন্ট করেছেন এই অপরাধে এখনি তার পদত্যাগ করা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আরো যে সকল অভিযোগ উঠেছে তার প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তার পদে কোন ভাবেই টিকে থাকতে পারে না।'

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন রুনু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক তারেক রেজা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সাভার/সাব্বির/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়