তৈরি হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ‘ডিজিটাল কনটেন্ট’
হাসিবুল ইসলাম মিথুন || রাইজিংবিডি.কম
সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেনের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি টাকা।
বর্তমানে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। যার মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৮৬০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৮ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ২১৮ জন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন করে স্কুলে এসে এসব শিক্ষার্থী যেন স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে, সেই জন্যই ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স’ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ১২৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ১২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা অনুদান দেবে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (ডিপিই)। বাকি টাকা সরকারি অর্থায়ন দেওয়া হবে। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পযর্ন্ত সকল বিষয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট হবে। এই ডিজিটাল কনটেন্টগুলো ডাউনলোড করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে দেখানো হবে। ফলে, শিক্ষার্থীরা খুব আনন্দের সঙ্গে তাদের শিখন সম্পন্ন করতে পারবে। এই উদ্যোগ সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দিতেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘করোনার কারণে বিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। করোনা চলে গেলে এসব স্কুল পুনরায় চালু অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। এ কারণে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে। করোনার মতো যেকোনো মহামারীতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় যেন কোনো বাধা না আসে, সেই জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘স্কুলগুলোতে কম্পিউটার ও ডিজিটাল স্ক্রিন কেনা হবে। গত বছর ২৬ হাজার কম্পিউটার কেনার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কিনতে পারিনি। তবে, এবার সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কম্পিউটার কিনবো। ’ উন্নত বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
হাসিবুল/এনই
রাইজিংবিডি
আরো পড়ুন