ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুবিতে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন, ৪ শিক্ষককে শোকজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১১, ১৯ অক্টোবর ২০২০  
খুবিতে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন, ৪ শিক্ষককে শোকজ 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করার কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) চার শিক্ষককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করাকে ‘আন্দোলনে শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৩ অক্টোবর তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আয়েশা রহমান আশা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করার ব্যাপারে চারজন শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে এক মাসের সময় চেয়েছেন। মানবিক কারণে তারা যাতে পূজার ছুটির পর জবাব দিতে পারেন, সেই সময় দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে উপাচার্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এরফলে প্রশাসন ভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে ও প্রশাসনিক কাজের বিঘ্ন ঘটে।

চিঠিতে শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সরাসরি বলা হয়েছে, ‘ওই বিষয়ের সঙ্গে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।’

শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনের প্রায় দুই মাস আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর আবাসন সংকট নিরসন, ন্যূনতম মানসম্পন্ন চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। কিন্তু প্রশাসন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে ১ জানুয়ারি ছাত্ররা আন্দোলনে নামে।

শোকজ পাওয়া সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল বলেন, চারজন শিক্ষকের কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আর জবাব দেওয়ার জন্য মাত্র তিন কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। যা খুবই কম। ফলে তারা ওই সময়ের মধ্যে জবাব দিতে পারেননি। 

নুরুজ্জামান/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়