সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা: ঢাবির সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নয়, সরাসরি হবে। এইচএসসির ফল প্রকাশের পর পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে। ডিসেম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। সরাসরি ভর্তি পরীক্ষার খবরে খুশি হয়েছেন ঢাবিতে ভর্তিচ্ছু অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তারা মনে করেন, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিলে অনেক অনিয়ম হওয়ার আশঙ্কা আছে। সরাসরি পরীক্ষা হলে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে।
শারমিন আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘অনেকে এসএসসিতে খারাপ ফল করলেও এইচএসসিতে ভালো প্রস্তুতি থাকে। কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষা হবে না, ফলে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নিলে প্রতিভা দেখানোর সুযোগ হবে। এর পাশাপাশি যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী বাছাই করার সুযোগ পাবে বিশ্ববিদ্যালয়।’
ঢাবিতে ভর্তিচ্ছু হাসান মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান না। যারা বেশি কোয়ালিফাইড, তারাই ভর্তি হতে পারেন। এজন্য অবশ্যই সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।’
স্নাতক পড়ুয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশে এখনো স্বপ্নের মতো। এর জন্য যে ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, তা আমাদের নেই। একজন শিক্ষার্থী যদি তার পাশে একজন শিক্ষক নিয়ে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেন, তার নকল কীভাবে ধরা যাবে? তাই ভর্তি পরীক্ষা সরাসরিই নেওয়া উচিত।’
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বিভাগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের, তিনি সেই বিভাগে পরীক্ষা দেবেন। ফলে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তাদের ঢাকায় আসতে হবে না।
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। সব অনুষদের ডিন এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। প্যানডেমিক সিচুয়েশন বিবেচনা করে এইচএসসির রেজাল্টের পর ডিসেম্বরে আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেব না, সরাসরি নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে চাই। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেব, যাতে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় না আসতে হয়।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের বিশেষ মূল্যায়ন সরকারের ভালো সিদ্ধান্ত। তবে পরের ধাপে যেতে হলে অবশ্যই তাদের জন্য বিতর্কমুক্ত ভর্তি পরীক্ষা নিতে হবে।’
ইয়ামিন/রফিক
আরো পড়ুন