৩৮ বছর পর স্থায়ী হলো চাকরি!

মো. রবিউল ইসলাম ১৯৮২ সালে যশোর সরকারি কলেজে অফিস সহায়ক পদে চাকরি শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৮ বছর পর তার চাকরি স্থায়ী করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই সঙ্গে সারা দেশে ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।

মাউশির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিধি মোতাবেক এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক হওয়ায় সরকারি চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হলো।’ 

অন‌্য যাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে, তারা হলেন—মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. হাসানুর রহমান, নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসের স্টোর কিপার এফ এম তুষার, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের হিসাব সহকারী মো. রুহুল আমিন, একই কলেজের মেকানিক কাম ইলেকট্রিশিয়ান মো. আরিফুর রহমান এবং যশোর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মেকানিক কাম ইলেকট্রিশিয়ান মো. মিজানুর রহমান মিজান।

নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি কলেজের অফিস সহায়ক জসিম উদ্দিনের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। ৩২ বছর পর জনপ্রশাসন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৯৯১ সালের নিয়োগ বিধিমালার ৬(৩)(ক) বিধি মোতাবেক এ আদেশ দেওয়া হয়।
হবিগঞ্জের বানিয়াচং সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মালি মো. মানিক মিয়াকে ৩৪ বছর পর সরকারি চাকরিতে স্থায়ী করা হয়েছে। এছাড়া, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের প্রদর্শক (উদ্ভিদ বিজ্ঞান) মো. কবিরুল ইসলাম, ঢাকা শেরেবাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক মো. নাছির উদ্দিন, ময়মনসিংহ মুনিমুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের প্রদর্শক (রসায়ন) রাবেয়া আকতার, গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের অফিস সহায়ক মো. গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক কফিল উদ্দিন, সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক রুনা খাতুনের চাকরিও স্থায়ী করা হয়েছে।