সাধারণ মানুষের সেবা করতে চান মিশোরী মুনমুন
শাহীন রহমান, পাবনা || রাইজিংবিডি.কম
ভবিষ্যতে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই বলে আশা প্রকাশ করেছেন এমবিবিএস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া মিশোরী মুনমুন।
তিনি বলেন, ‘এমন ফলাফলের পেছনে আমার বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। সর্বোপরি মহান আল্লাহ আমাকে সম্মানিত করেছেন। আমি শুধু আমার নিজের মেধা, পরিশ্রম দ্বারা চেষ্টা করে গেছি। ভবিষ্যতে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই।’
এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মিশোরী মুনমুন। গত ২ এপ্রিল তিনি পাবনা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে শিক্ষক, বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সবার প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
মিশোরী মুনমুন পাবনা শহরতলী রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার মো. আব্দুল কাইয়ুম ও মোছা. মুসলিমা খাতুন দম্পতির মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট মিশোরী মুনমুন। ভবিষ্যতে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করাই লক্ষ্য মিশোরীর।
বাবা মো. আব্দুল কাইয়ুম মিশোরী মুনমুনের কৃতিত্ব অর্জনে অনেক খুশি। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মিশোরী মুনমুন পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করে। দুটোতেই সে জিপিএ-৫ লাভ করেছে। বরাবরই সে ভালো ফল করে আমাদের গৌরবান্বিত করেছে।’
আব্দুল কাইয়ুম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ওয়ার্কার হিসেবে চাকরি করেন। তার শুধু তিন মেয়ে। বড় মেয়ে মেহেরাজ মুনমুন ডাক্তার। তিনি চুয়াডাঙ্গায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মেঝো মেয়ে মেহেরাব মুনমুন পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজে রসায়ন বিভাগে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়েন।
পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মিশোরী মুনমুন ছোট থেকেই মেধাবী। তৃতীয় শ্রেণি থেকে এসএসসি পর্যন্ত সে এখানেই পড়াশোনা করেছে। সবসময় সে ক্লাসে প্রথমস্থান অধিকার করতো। মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় সে প্রথম হয়েছে জেনে আমরা খুবই আনন্দিত। সে পাবনার মুখ উজ্বল করেছে।’
পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, ‘আমরা খুবই গর্ববোধ করছি এই ফলাফলে। মুনমুন আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করি।’
মিশোরী মুনমুনের মা মুসলিমা খাতুন বলেন, ‘মেয়ের এমন ফলাফলে আমরা খুবই খুশি। সবার আগে আমরা চাই সে মানুষের মতো মানুষ হোক।’
শাহীন/ইয়ামিন/মাহি
আরো পড়ুন