শিক্ষায় বাজেটের আকার বাড়তে পারে: শিক্ষা সচিব
শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, শিক্ষার ব্যয়ের জন্য অনেকে বাজেট বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করে থাকেন। বাজেট বৃদ্ধিতে সব সমস্যা সমাধান করে না, এটি ব্যবহার ও সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা তৈরি বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিয়তা দেওয়া হয়েছে। এটির আকার বাড়তে পারে। বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। গত বছরের বাজেটের অর্থ ব্যবহারে শুরু থেকে আমরা সচেতন ছিলাম। স্বচ্ছভাবে তা ব্যয় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে করোনায় বিপর্যস্ত বাজেট কেমন হওয়া উচিত’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এমন কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, শিক্ষাবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মঞ্জুরুল আহমেদ, শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক বক্তব্য রাখেন।
ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ক্ষতিপূরণ বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। শুধু বরাদ্দ বাড়ালে চলবে না তা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করতে হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিশেষ বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানান তিনি।
ড. মঞ্জুরুল আহমেদ বলেন, জীবন ও জীবিকার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে একদিন শিক্ষায় ফিরতে হবে। এক সঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ খুলতে হবে। তবে সব বিষয়ে কাটসাট করে পড়ালে চলবে না। মৌলিক বিষয় বাংলা, ইংরেজি, অংক ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান প্রদান করতে হবে। শিক্ষাবর্ষ সেপ্টেম্বর থেকে জুন করার আহ্বান জানান তিনি।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, করোনা মাহামারিকে সামনে রেখে শিক্ষার কি ধরনের বাজেট হওয়া উচিৎ তা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মাঠ পর্যায়ে বাজেট সংক্রান্ত সংলাপ ও আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি ও দাবির বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হয়েছে। তার আলোকে আগামী বাজেটে মোট বরাদ্দের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক বলেন, করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থায় কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা এখনই নিরূপন করতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি জেনে সে পরিমাণে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন।
সংলাপে রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চলনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এনজিও কর্মী প্রমুখ।
ইয়ামিন/সাইফ
আরো পড়ুন