ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতাধিক নিয়োগ দিলেন রাবি উপাচার্য

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৬ মে ২০২১  
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতাধিক নিয়োগ দিলেন রাবি উপাচার্য

ফাইল ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সব ধরনের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও তা অমান্য করে ১৪১ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। 

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে অস্থায়ী ভিত্তিতে অনধিক ছয় মাসের জন্য উপাচার্য এ নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষদ শাখার দপ্তর প্রধান সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মামুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম অ্যাডহক নিয়োগপত্রে কোনো স্বাক্ষর করেননি। সেখানে রেজিস্ট্রার হিসেবে স্বাক্ষরের নির্বাহী আদেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলীকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অফিস আদেশে দেখা যায়, অ্যাডহকের মাধ্যমে ৯ জন শিক্ষক, ২৩ জন কর্মকর্তা, ৮৫ জন নিম্নমান সহকারী এবং ২৪ জন সহায়ক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মী এবং সাংবাদিক।

নিয়োগের তালিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ১২ (৫) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নলিখিত প্রার্থীদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও স্থানে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) অনধিক ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো। এ নিয়োগ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হোক।

জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্যকে দেওয়া চিঠিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল নিয়োগ স্থগিত রাখতে বলা হয়। তবে উপাচার্য আব্দুস সোবহান দায়িত্বের শেষ দিনে হলেও নিয়োগ দিয়েই ছাড়বেন, এমন আশঙ্কায় গত কয়েকদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের একাধিকবার মুখোমুখি অবস্থান হয়েছে।

আজ দুপুরে পুলিশি নিরাপত্তায় উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ক্যাম্পাস থেকে ত্যাগ করেন। এসময় সাংবাদিকরা নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ হয়েছে কি না আপনারা পরে জানতে পারবেন।’

অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি এসব ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমাকে নানাভাবে অনৈতিক চাপ প্রদান করা হয়েছিল। তাই আমি গত দুই দিন ধরে আত্মগোপনে ছিলাম।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, ‘এ নিয়োগের ফলে পরবর্তীতে যে প্রশাসন আসবে তাকে এর মাশুল দিতে হবে। ইউজিসি যদি অ্যাডহকের বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন ক্যাম্পাসে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।’

রাবি/সাইফুর/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়