তুষ্টির মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সহপাঠীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ইসরাত জাহান তুষ্টি
‘তুষ্টি তুই নেই, এটা মেনে নিতে পারছি না। ওর মতো মানুষ এতো দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে যাবে এটা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছি না।’
রোববার (৬ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান তুষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়। তুষ্টিকে হারিয়ে তার বান্ধবী নওশীন চৌধুরী কথাগুলো বলেন। তুষ্টির মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার সহপাঠী, রুমমেটরা।
তুষ্টি ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকতেন। তবে হল বন্ধ থাকার কারণে এক বান্ধবীকে নিয়ে পলাশীতে একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। ওই বাসার বাথরুম থেকে তুষ্টির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পলাশী থেকে ঢাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
হলের রুমমেট আসমা আক্তার লিয়া বলেন, ‘সে রাতে কখনও একা একা ওয়াশরুমে যায়নি। ভয় পেতো। বেশির ভাগ সময় আমাকে নয়তো অন্যদেরকে দরজার সামনে দাঁড় করিয়ে রাখতো। আজ সেই বাথরুমের আবদ্ধ ঘরে একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কত কষ্টই না করেছে।’
রাশিদাতুল রোশনি নামের একজন বলেন, ‘তুষ্টি আমার পাশের রুমে থাকতো। ওর ঠাণ্ডার সমস্যা ছিলো। শুনেছি ২ দিন আগে নাকি বৃষ্টিতে ভিজেছে। তুষ্টি এতো দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে যাবে কখনও ভাবিনি।’
ইসরাত জাহান তুষ্টির গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আলতাফ হোসেন।
## কার্জন হলের আড্ডায় হাফিজুরের সঙ্গীদের খুঁজছে পুলিশ
## অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে পড়ে ছিল ঢাবি শিক্ষার্থীর লাশ
ঢাকা/ইয়ামিন/ইভা
আরো পড়ুন