শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে করা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন আগের। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।’

বুধবার (২৭ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এমন কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ প্রতিবেদন আরো খতিয়ে দেখতে হবে। এটা তাদের অনেক পুরনো ডাটা। বর্তমানে টাকা দিয়ে নিয়োগের সুযোগ নেই। এ প্রতিবেদন তাদের ইনটেনশনালি করা হতে পারে।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর টিআইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে তিন লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘আর্থিক লেনদেন’ হয়।

এর বাইরে অন্যান্য নিয়োগ, বদলি, নতুন পাঠদান, শ্রেণি শাখা, বিভাগ ও বিষয় অনুমোদন এবং শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল অনুমোদনেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

টিআইবি বলছে, এসব অনিয়মে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য, প্রধান শিক্ষক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।

মাউশি ও এর অধীনস্থ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, পরিচালনা কমিটি, অন্যান্য অংশীজন, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ ৩২৫ জন ‘মুখ্য তথ্যদাতার’ সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিআইবি।