ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

 সশরীরে ক্লাস বন্ধ জাবি, বুয়েটে: কী ভাবছে ঢাবি

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২২  
 সশরীরে ক্লাস বন্ধ জাবি, বুয়েটে: কী ভাবছে ঢাবি

ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুনভাবে করোনার বিস্তার রোধে সশরীরে ক্লাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। 

এছাড়া হল-ক্যাম্পাস বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস চলবে কি না সেটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে জল্পনা কল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন পর হল ক্যাম্পাস খোলা হয়েছে। এখন আবার নতুনভাবে ওমিক্রন আতঙ্ক। এ অবস্থায় হল ক্যাম্পাস বন্ধ হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। তাই বন্ধ না করে কীভাবে স্বাস্থবিধি মেনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনার ঊর্ধ্বগতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে করোনা সংক্রমণের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে আবাসিক হল খোলা রাখা ও সশরীরে শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। তাই সবাইকে যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে।

এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে হল বন্ধ ও অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।

দাবি আদায়ে গত সপ্তাহে বুটেক্স সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, অবিলম্বে হলসমূহে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে হল বন্ধ করতে হবে। অফলাইনের বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বিলম্ব হওয়ার কারণে যদি কোনো শিক্ষার্থী হলে আক্রান্ত বা সংক্রমিত হয় তার সার্বিক দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।

সশরীরে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে যেকোনো শিক্ষা-কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন বলেও দাবি শিক্ষার্থীদের।

টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি। হলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস ও হল চালু থাকার পক্ষে ঢাবির অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, প্রয়োজনে কঠোর স্বাস্থবিধি মেইন্টেন করা হোক। হল ও ক্লাস বন্ধ না করে বুস্টার ডোজ যাতে সবাই পেতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

ইতোমধ্যে বুস্টার ডোজ পেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাস্থ‌্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করছি। বুয়েট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তও আমরা অবগত। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার মত কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। এবং অনলাইন ক্লাসেরও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবার সম্মতিতে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি করছি।”

ইয়ামিন/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়