ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন মা'

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৯, ১ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন মা'

বিনোদন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মা দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

গতকাল বুধবার রাত ১০টায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের অবহেলার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্মাতা রফিক শিকদার।

মায়ের মৃত্যুর পর রফিক শিকদার তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘পাষাণ ডাক্তারের নির্মমতার কাছে জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন আমার মা। আমাদের ছয় ভাই বোনকে বিচারহীনতার নরকে ফেলে রেখে অভিমানে এইমাত্র ওপারে চলে গেলেন আমার মা।’

রফিক শিকদার বলেন, ‘মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল। পরে এই অপরাধ তিনি লিখিতভাবে স্বীকার করে নিয়ে আমাদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন যে, তিনি নিজ খরচে কিডনি প্রতিস্থাপন করবেন। কিন্তু ডাক্তার হাবিবুর রহমান কালক্ষেপণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের আইসিইউয়ের লাইফ সাপোর্টে কোমায় ফেলে রাখেন মাকে। আজ মা চলে গেলেন।’

রফিক শিকদার আরো বলেন, ‘আমার মায়ের কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে আমরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করি। তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান- মায়ের বাম কিডনিতে একটু সমস্যা আছে। তাই এই কিডনিটি ফেলে দিতে হবে। অপারেশনের পর আমরা জানতে পারি মায়ের দুটি কিডনিই কেটে ফেলা হয়েছে।’
 


তিনি বলেন, ‘অপারেশনের পর কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে বলেন, অপারেশনের পর থেকেই সুস্থ কিডনিটি আর কাজ করছে না। তাই দ্রুত তাকে আইসিইউতে নিতে হবে। আমাদের এখানে আইসিইউ খালি নেই। আপনারা কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আমরা ইনসাফ বারাকা কিডনি হাপাতালের আইসিউতে মাকে ভর্তি করালে তারা আমাদের কয়েকটি টেস্ট করতে দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতালে সিটিস্ক্যান করালে তারা জানায়- মায়ের মধ্যে কিডনির কোনো অস্তিত্বই নেই। এরপর ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল ইসলাম কথা বলেন ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের সঙ্গে। পরে মাকে আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।'

রফিক শিকদার আরো বলেন, ‘আমার মাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করি ওই সময় সেখানে ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক মামুনের মাকে ভর্তি করানো হয়। তার দুটি কিডনিই নষ্ট ছিল। আর এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। আমি জানতে চাই তারা দুটি কিডনি কোথায় পেলেন? আমরা আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ নভেম্বর ২০১৮/রাহাত/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়