ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

পারিশ্রমিক নিয়েছেন রিয়াজ-ফেরদৌস, আপত্তি মিশা-জায়েদের

প্রকাশিত: ১২:০৯, ৯ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পারিশ্রমিক নিয়েছেন রিয়াজ-ফেরদৌস, আপত্তি মিশা-জায়েদের

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই কাদা ছোড়াছুড়ি বাড়ছে। কখনো মিশা-জায়েদকে আবার কখনো রিয়াজ-ফেরদৌসকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্রশ্ন তুলেছেন— অসচ্ছল শিল্পীদের তহবিল গঠনের জন্য আয়োজিত কনসার্টের পারিশ্রমিক কেন নিলেন রিয়াজ ও ফেরদৌস?

গত বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও শো ব্লিজ এন্টারটেইনমেন্টের যৌথ আয়োজনে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনেক তারকাই অংশ নেন। অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য তহবিল গঠন করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কথা ছিল, কনসার্টের অর্থ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা হবে। পারিশ্রমিক হিসেবে সেখান থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নেন ফেরদৌস, রিয়াজ, পপি।

এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘শিল্পীদের জন্য ফান্ড গঠন করতে একটি চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপি। শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের প্রতি কোনো দায় নেই তাদের। এজন্যই ফান্ড গঠনের চ্যারিটি অনুষ্ঠান থেকেও পারিশ্রমিক নেন তারা। তারা ছাড়া কমিটির অন্য কেউ টাকা নেয়নি।’

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য আট লাখ টাকার ফান্ড করেছিলাম। অনেকেই বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে রাজি হননি। সেখান থেকে কমিটির সহ-সভাপতি রিয়াজ ভাই ও সদস্য ফেরদৌস ভাই ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া কমিটির বাইরের শিল্পীদের পারিশ্রমিক দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ লাখ টাকা দিতে হয়েছে তাদের। আমার প্রশ্ন হলো, আমি মিশা ভাই, মাসুম বাবুল ভাই তো টাকা নেইনি। আপনারা কার্যনির্বাহী পরিষদের লোক হয়েও কীভাবে অসচ্ছল শিল্পীদের টাকা নিলেন?’

তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন, সাধারণ সম্পাদকের আসনে না থাকলে আমার ক্যারিয়ার বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তার চেয়ে অনেক ভালো হতো। গত দুই বছরে ৪-৫টা সিনেমা মুক্তি পেত। সমিতিকে ভালোবাসার কারণে আমার ক্যারিয়ার পিছিয়েছে। শিল্পীরা যাকে ইচ্ছে ভোট দেবেন। আমি যদি হারি, যিনি জিতবেন তার গলায় মালা পরিয়ে দেব। পরদিন থেকে আবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।’

এ বিষয়ে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘ঘটনা হলো নারয়ণগঞ্জের সেই শোটি ছিল ৮ লাখ টাকা বাজেটের। তারমধ্যে ৪ লাখ টাকা শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা হয়েছে। আর বাকি চার লাখ টাকা যারা পারফর্ম করেছে তাদের দেয়া হয়েছে। সেটা কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে নয়। ড্রেস ও অন্যান্য খরচ বাবদ। আর তা সবাই মিলে নির্ধারণ করেছিল। আমি, ফেরদৌস ও পপি যদি ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা নিয়ে থাকি তবে বাকি আড়াই লাখ টাকা কোথায়? সেগুলো কে নিয়েছে?’

রিয়াজের এমন বক্তব্য খণ্ডন করে জায়েদ খান বলেন, ‘তাদের দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়ছে। এছাড়া সাধারণ সদস্য যারা পারফর্ম করেছেন তাদের দেয়া হয়েছে। রিয়াজ ভাই, ফেরদৌস ভাই কার্যনির্বাহী সদস্য হয়ে টাকা নিয়েছেন। তাহলে অন্যদের দেয়া তো তখন বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। আর আমি মনে করি তারা পরিশ্রম করেছেন তারা নিতেই পারেন। আপনারা নেতৃত্বে থেকে টাকাটা নিলেন কীভাবে?’

আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার আগে শোনা যায়, এই নির্বাচনে মিশা-জায়েদ ও মৌসুমী-তায়েব প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এতে রিয়াজ, ফেরদৌস, পপি মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বের হয়ে মৌসুমী-তায়েব প্যানেলে নির্বাচন করার কথাও শোনা যায়। সর্বশেষ মৌসুমী-তায়েব প্যানেল ভেস্তে যায়। এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন মৌসুমী। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রিয়াজ, ফেরদৌস ও পপি।



ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়