‘সিনেমায় ঘাম ঝরানো অর্থ লগ্নি করেছি’

নির্মাতা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে এখনও তরুণ শাহ আলম মণ্ডল। তবুও হীরা চিনতে ভুল হয়নি এ নির্মাতার। প্রথম সিনেমাতেই নায়িকা হিসেবে আবিষ্কার করেন পরীমনিকে। তাকে নিয়েই এই নির্মাতা তৈরি করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এই সিনেমায় অভিনয় করে পরীমনি যেমন চমকে দিয়েছেন সকলকে তেমনি শাহ আলম মণ্ডলকে ঘিরেও অনেকেরই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এরপর তিনি বাপ্পি-পরীকে নিয়ে ‘আপন মানুষ’ নির্মাণ করেন। এবার এই নির্মাতার ‘ডনগিরি’ মুক্তি পেয়েছে। 

ঢাকাসহ সারাদেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে চলছে ডনগিরি। সিনেমায় চিত্রনায়ক বাপ্পি চৌধুরী, অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও নবাগতা এমিয়া এমি জুটি বেঁধেছেন। সিনেমাটি পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনা করেছেন শাহ আলম মণ্ডল। যদিও নির্মাণ কাজ শেষ করতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। সিনেমা ভালোবেসে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ এখানে ব্যয় করেছেন বলে জানিয়েছেন এই নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গে শাহ আলম মন্ডল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ডনগিরিতে ঘাম ঝরানো অর্থ লগ্নি করেছি। প্রচার করার মত তেমন টাকা আমার ছিল না। সকল দর্শক, সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ আপনারা চলচ্চিত্রটি দেখুন। সমালোচনা করুন। কারণ আমি মানুষ, মানুষ মাত্রই ভুল করে। গঠনমূলক সমালোচনা আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রদর্শক সমিতি, বুকিং এজেন্টদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চলচ্চিত্রের এই ক্রান্তিকালে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। রুগ্ন শিল্প থেকে বাঁচতে আপনাদের সবার শ্রদ্ধা, ভালবাসা সর্বোপরি সততা একান্ত দরকার।’

পরিবারের সবার অমতে চলচ্চিত্রে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। রংপুরের ছেলে শাহ আলম মণ্ডল ছেলেবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি আগ্রহী। স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখতেন। এ জন্য বাবা-মার হাতে মারও খেতে হয়েছে অনেকবার। রংপুর কারমাইকেল কলেজের কেমিস্ট্রিতে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী থাকাকালীন তিনি ঢাকা আসেন। গুণী নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে দেখা করেন। তিনিই তাকে কাজ কারার সুযোগ করে দেন। এ জন্য শাহ আলম মণ্ডলকে পরীক্ষাও দিতে হয়েছে। সহকারী হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ‘সত্যের জয়’। এরপর বদিউল আলম খোকনের সঙ্গে আটটি সিনেমায় সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সর্বশেষ এফ আই মানিকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।


ঢাকা/রাহাত সাইফুল/তারা