ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেষ হলো এশিয়ার সর্ববৃহৎ লোকসংগীতের মহোৎসব

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ১৬ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেষ হলো এশিয়ার সর্ববৃহৎ লোকসংগীতের মহোৎসব

যে গান আবেগতাড়িত করে আমাদের, দেহতত্ত্ব আর মাটির কথা ফুটে ওঠে যে গানে, সেটাই তো আমাদের লোকগান। লোকসংগীতের অমিয় সুধা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে গত চার বছরের পরিক্রমায় এবারও সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট ২০১৯’।

পঞ্চমবারের এই আয়োজনের আজ শেষ হলো। আর্মি স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় আর বাঁধভাঙা উল্লাস প্রমাণ করে এদেশের মানুষ লোকগানকে কতটা ভালোবাসেন।

‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফস্টে ২০১৯’-এর শেষদিনে আজ দর্শক মাতাতে শুরুতেই কাওয়ালি গানে দর্শক মাতালেন মালেক কাওয়াল। বাংলাদেশের কাওয়ালি গানের খ্যাতিমান এ শিল্পী মঞ্চে উঠেন সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে। তার কাওয়ালি, মাইজভাণ্ডারী গান পরিবেশনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় সমাপনী দিনের আয়োজন।'ইশকে নবী', 'গাউছুল আজম ভাণ্ডারী', 'আমার বাবা মাওলানা', 'বাবা মাওলানা', 'ভিখারী মেরি'সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় কাওয়ালি এবং মাইজভাণ্ডারী গান পরিবেশন করেন তিনি। ৪৫ মিনিটের পরিবেশনায় আগতদের মাতিয়ে রেখেছেন মালেক কাওয়াল।এরপর মঞ্চে আসেন রাশিয়ান কারেলিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সাত্তমা’। মঞ্চে নানা ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট বাজিয়ে এক অদ্ভুত মূর্ছনায় দর্শককে আবিষ্ট করে রাখেন সাত্তুমার সদস্যরা।

এরপরে নিজের সুরের জাদু নিয়ে মঞ্চে হাজির হন চন্দনা মজুমদার। তিনি মঞ্চে এসে প্রথমে তিনটি গান গাইলে ‘তুমি জানো নারে প্রিয়ও’ গানটি নিজের কন্ঠে তোলার পরেই চারিদিকে দর্শকদের কন্ঠে গাওয়ার হিরিক পরে যায়। তবে আগত দর্শকদের সবার মাঝেই পাকিস্তানি গায়ক জুননের গান শোনার আগ্রহ লুকিয়ে রয়েছে। সর্বশেষ মঞ্চে উঠেন জুনন। মঞ্চে উঠেই পর পর তিনটি রক গানে মঞ্চ মাতিয়েছন। এর পরে শুরু করেন ফোক গান। তার গান দিয়েই পর্দা নামে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট ২০১৯’।

ফোকফেস্টের এবারের আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬টি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি লোকশিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নেন।
 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/নাসিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়