ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

একই দিনে সিনেপ্লেক্সে দুই সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
একই দিনে সিনেপ্লেক্সে দুই সিনেমা

আগামীকাল শুক্রবার নগরীর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে হলিউডের দুই সিনেমা। একটি অ্যাডভেঞ্চার আর অন্যটি হরর ঘরানার।

প্রখ্যাত মার্কিন ঔপন্যাসিক জ্যাক লন্ডনের সাড়া জাগানো উপন্যাস অবলম্বনে অ্যাডভেঞ্চারধর্মী ‘দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড’ পরিচালনা করেছেন ক্রিস স্যান্ডার্স। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারিসন ফোর্ড, ড্যান স্টিভেনস, ক্যারেন গিলান, ব্র্যাডলি হুইটফোর্ড প্রমুখ।

অন্যদিকে হরর ঘরানার ‘ব্রামস: দ্য বয় ২’ হলো ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য বয়’- এর সিক্যুয়েল। অতিপ্রাকৃত এই কাহিনিচিত্রের পরিচালক উইলিয়াম ব্রেন্ট বেল। চিত্রনাট্যকার স্ট্যাসি মেনিয়ার। অভিনয় করেছেন কেটি হোমস, ক্রিস্টোফার কনভেরি, রাফ ইনেসন প্রমুখ।

দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড

প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যেই ভালো-খারাপ দুটি সত্ত্বা বিদ্যমান। এছাড়া সকল প্রাণীর মধ্যেই স্বাধীনতা লাভ করার একটা চেতনা থাকে। এমনই কিছু বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক জ্যাক লন্ডন রচনা করেন ‘দ্য কল অব দ্য ওয়াইল্ড’। তখন বিংশ শতাব্দী শুরু হয়েছে সবে। স্বর্ণ সন্ধানী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষেরা সুবিশাল পৃথিবীর নানা অদেখা প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তখনো যান্ত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অতটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বন্য পরিবেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র অবলম্বন ছিল কুকুরের টানা স্লেজ ও ঠেলাগাড়ি। অ্যাডভেঞ্চারধর্মী এ সিনেমার  কাহিনি আবর্তিত হয়েছে ‘বাক’ নামে একটি কুকুরের জীবনকে ঘিরে। ‘বাক’ এই সিনেমার মূল নায়ক।

ব্রামস: দ্য বয় ২

নিজের দুঃসহ অতীত ভুলতে চান মার্কিন তরুণী গ্রেটা। তাই নতুন চাকরি নিয়ে চলে যান ইংল্যান্ডের ছোট্ট এক গ্রামে। বিত্তশালী এক দম্পতি দীর্ঘ ছুটি কাটাতে যাবেন। এ সময় তাদের আট বছর বয়েসি ছেলেকে দেখাশোনাই গ্রেটার দায়িত্ব। প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে গ্রেটা টের পান, কোথাও যেন একটা গোলমাল আছে। তার নিয়োগদাতা হিলশায়ার দম্পতির বয়স বিস্ময়কর রকমের বেশি। ছেলে ব্রামসের যত্ন কীভাবে নিতে হবে, তা নিয়ে কঠোর নির্দেশনা সংবলিত একটা তালিকা গ্রেটার হাতে ধরিয়ে দেন তারা। আর সতর্ক করে দেন, এসব নিয়ম ঠিকঠাক না মানলে পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে। তবে সবচেয়ে গোলমেলে ব্যাপারটা হলো—ব্রামস আসলে ছোট্ট শিশু নয়, বরং ঠিক সেই আকারের একটি চীনামাটির পুতুল। কিন্তু তাকে হিলশায়ার দম্পতি নিজেদের আসল ছেলের মতোই যত্ন করেন এবং গভীর ভালোবাসেন।

প্রবীণ দম্পতি ছুটিতে চলে যাওয়ার পর গ্রেটা ওই ভূতুড়ে বাড়িতে বিচ্ছিন্ন ও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। তিনি বুঝতে পারেন, প্রতিবার একেকটা নিয়ম ভঙ্গ করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে অদ্ভুত কিছু ব্যাপার ঘটে। আর পুতুলটাকে ঠিক যে জায়গায় রাখেন, সেখান থেকে সরে অন্য জায়গায় চলে যায়! তাহলে কি পুতুলটা জীবিত? স্থানীয় মুদি দোকানের একজন কর্মচারী ছাড়া আশপাশে আর কোনো জনমানুষের দেখা নেই। অগত্যা তার সাহায্য নেন গ্রেটা। এক পর্যায়ে জানতে পারেন হিলশায়ার পরিবারের বেদনাদায়ক অতীত। এমন গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে সিনেমাটির কাহিনি।

 

ঢাকা/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়