ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কল্যাণী ও হেনাদের গল্প…

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ২২ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কল্যাণী ও হেনাদের গল্প…

১৯৭১ সাল। উত্তাল মার্চ। কল্যাণী ইসলামপুরে তার পৈতৃক ভিটায় কয়েকজন মেয়ে নিয়ে বসবাস করে। এদের মধ্যে হেনার উপর বেশি ভরসা করে কল্যাণী। হেনা আর কল্যাণীর সম্পর্ক বোনের মতো। কল্যাণীর বাড়িটি মূলত একটি পতিতালয়। এদিকে কল্যাণীকে ভালোবাসে বিরিয়ানি দোকানদার আলতাফ। কিন্তু কল্যাণীদের এমন জীবন যেখানে ভালোবাসা কিংবা সংসার থাকে না। এলাকার খালেক কল্যাণীর বাড়িতে নিয়মিত আসে। একদিন কল্যাণীর সঙ্গে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে বড় ধরনের বাকবিতণ্ডা হয়। হেনা-কল্যাণী খালেক ও তার দলবলকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু খালেক বিষয়টি ভুলে না।

২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় হানাদার বাহিনীর আক্রমণ শুরু হয়। খালেকদের যেন সুযোগ আসে। এলাকার হিন্দুসহ অসহায় মানুষদের বাড়ি দখল করতে থাকে তারা। কল্যাণীর বাড়িটি দখলে নিতে আসে খালেক। অন্যদিকে আলতাফ চলে যায় মুক্তিযুদ্ধে। হেনা আর কল্যাণীরা তখন অসহায়। চলতে থাকে তাদের উপর খালেকের নির্মম নির্যাতন। এক সময় সেই বন্দিদশা থেকে কল্যাণী আর হেনা বাঙালি একটি ছেলের সহায়তায় পালিয়ে যায়। দেশ স্বাধীন হয়। পার হয়ে যায় অনেকগুলো বছর। খালেকের নাম হয়ে যায় খালেকুজ্জামান। এখন সে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও মুক্তিযোদ্ধা।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর কল্যাণী আর হেনার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে খালেকের দেখা হয়। সেই অনুষ্ঠানে খালেক প্রধান অতিথি। কল্যাণী ও হেনাসহ আরো কিছু বীরাঙ্গনাকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া হবে। কিন্তু কল্যাণী আর হেনারা কি খালেকের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবে?

এ প্রশ্নের উত্তর জানতে ‘কালের আবর্তে’ নাটকটি দেখার আহ্বান জানিয়েছেন পরিচালক হায়াত মাহমুদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নাটকটির গল্প লিখেছেন হেলেন বদরুদ্দীন। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সৈয়দ ইকবাল। 

গল্পের কল্যাণী চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, খালেক চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদ, হেনা চরিত্রে নুসরাত জান্নাত রুহী ও আলতাফের চরিত্রে সমাপ্তি মাশুক অভিনয় করেছেন। এছাড়াও অভিনয় করেছেন—রিগ্যান, হাঁসি প্রমুখ। নাটকে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শতাব্দী ওয়াদুদ ও নুসরাত জান্নাত রুহী দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ বলেন—এ নাটকে দুটি সময়ের গল্প দেখানো হয়েছে। কাজটি করতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে কলাকুশলীসহ পুরো ইউনিটের। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ সবাই আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন। এই কাজটির মধ্যে এক প্রকারের দায়বদ্ধতা আছে বলে আমার বিশ্বাস। নাটকটি দেখার পর সকলের মধ্যে অন্য এক অনুভূতি কাজ করবে। আমরা সচরাচর মুক্তিযুদ্ধের যে ধরনের গল্প দেখতে পাই তা থেকে নাটকটি অনেক আলাদা। একটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের নাটক এটি।

আগামী ২৬ মার্চ বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।

 

ঢাকা/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়