ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘আমি বাঁচব কি?’

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১০ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আমি বাঁচব কি?’

গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জন। মারা গেছেন ২১ জন। সময়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। উৎকণ্ঠা ও চিন্তার ভাঁজ সবার কপালেই দৃশ্যমান। আর এমন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন ছুড়েছেন—‘আমি বাঁচব কি?’

জ্যোতি তার মাকে নিয়ে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে এ অভিনেত্রী এর আগে ফেসবুকে লিখেন—করোনাকালে আমাদের পারিবারিক অবস্থান: আমার মা ও আমি ঢাকায়। আজ প্রায় ২২ দিন, সারাদিন বাসায়ই থাকছি। আমাদের আবাসিক এলাকা লকডাউন। মাঝে মাঝে বাজার করতে বের হতে হয়, হেঁটে হেঁটে যাই আসি। কারণ একসঙ্গে অনেককিছু কিনে রাখিনি। আমি এখনো ভীষণ ব্যস্ত থাকতে পারছি, কাজ করছি বাসায়। তবে মা কিছুটা বিষণ্ন সারাক্ষণ। মায়ের প্রেসার, কোলেস্টেরল এসবের কারণে মাঝে মাঝে বুক ব্যথা হয়, তখন আমার আত্মা শুকিয়ে যায়, এ মুহূর্তে ডক্টর হাসপাতাল কঠিন বিষয়। এর আগে অনেকবার বুকে ব্যথার জন্য সাথে সাথে হাসপাতাল নিতে হয়েছে। যতটা সম্ভব তার টেক কেয়ার করছি।

জ্যোতির মা ঢাকায় থাকলেও তার বাবা গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি লিখেন—আমার বাবা গৌরীপুর, আমাদের বাড়িতে একা। সে বাড়ি ছেড়ে বন্দি হয়ে কোথাও থাকবে না। তাকে আমাদের কাছে আনতে পারিনি। এলাকার হাওয়া-বাতাস, বাজার আড্ডা চা ছাড়া তার দম বন্ধ হয়ে আসে। বাবা ৭৫ ছুঁই ছুঁই, তাকে নিয়ে প্রচন্ড টেনশন! আজ মায়ের কাছে ফোনে নাকি কেঁদেছেন আমার ছোট ভাইয়ের টেনশনে। আমার ছোট ভাইটা সিঙ্গাপুর আছে। সে দেশে ফেরেনি, কারণ এই অবস্থায় ফিরতে চায়নি। কাল থেকে সিঙ্গাপুর লকডাউন করেছে তাই মা-বাবার টেনশন বাড়লো। ওকে নিয়ে আমার প্রচন্ড টেনশন থাকলেও তা চেপে রেখে মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিতে হচ্ছে এই সেই বলে।

এক প্রকার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন জ্যোতি। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী লিখেন—আমার দুই ভাই-বোন ময়মনসিংহে। বোনের ছেলেদের মিস করছি পাগলের মতো, টেনশন হয় বাচ্ছা দুটোর জন্য। ভাই-বোন, বোনের বর যতটা সম্ভব সেফ থাকার চেষ্টা করছে। আমার কাকা ঢাকায়, সে ব্যাংকার। ব্যাংকে যাচ্ছিল বলে কাকি ও বোনের কাছ থেকে দুরে থাকছে, সারাদিন গরম চা খাচ্ছে, আলাদা বিছানায় থাকছে। আমার এক মামা কিশোরগঞ্জ, সে হেলথের অফিসার। সারাদিন আর্মি, প্রশাসনের সাথে মাঠ পর্য়ায়ে দৌড়াতে হচ্ছে। তার নিজের যত্ন সে অতটা নেয় না। তার জন্যও খুব টেনশন হচ্ছে। বাকি আত্মীয়-স্বজন তাদের মতো করে সতর্ক থাকছে, ফোন ভিডিও কলে কথা হয়। কলকাতায় থাকে আমার দুই মামা, দুই মাসি, মামি ও ভাই-বোন সবার জন্য একটু টেনশন হচ্ছে। আর বন্ধু, পরিচিতজনরা তো আছে-ই। এইরকম মানসিক অবস্থায় আছি। সবাই ভালো থাকবেন, পরিবারের প্রতি যত্নশীল থাকুন। পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক।

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়