ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অভিসারে আর কেউ যাবে না

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
অভিসারে আর কেউ যাবে না

বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকাই চলচ্চিত্রে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে সিনেমা হলগুলো। অনেক সময় নতুন সিনেমা না থাকায় পুরোনো সিনেমা দিয়ে হলগুলো চালু রাখা হয়ে থাকে। এজন্য হল মালিকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

এদিকে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। এজন্য গত দুই মাস ধরে সিনেমা হল বন্ধ রয়েছে। হল মালিকদের গুণতে হয়েছে লোকসান। এবার লোকসানের মুখে ভেঙে ফেলা হচ্ছে রাজধানীর পুরোনো সিনেমা হল অভিসার।

২৬ কাঠা জায়গাজুড়ে অবস্থিত অভিসার সিনেমা হলটি ভেঙে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ও ছোট পরিসরে একটি সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আর্থিক সঙ্কটের মুখে বাধ্য হয়ে হলটি ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন করছেন বলে জানিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহের অন্যতম মালিক সফর আলী ভূঁইয়া।

১৯৬৮ সালের দিকে ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়; ১৯৯২ সালে দেনার দায়ে কে এম আর মঞ্জু ও সফর আলী ভূঁইয়ার কাছে অভিসার বিক্রি করেন। কেনার পর অভিসারের উপর ‘নেপচুন’ নামে আরেকটি সিনেমা হল তৈরি করেন তারা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এই ভবনে একটি কমিউনিটি সেন্টার থাকবে। পাশাপাশি অন্যান্য তলায় ব্যাংক-বীমা ও সায়েন্টিফিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান ভাড়া দেওয়া হবে। প্রায় ৫২ বছরের পুরোনো অভিসার ভেঙে ফেলা হলেও স্মৃতি হিসেবে নামটাকে টিকিয়ে রাখতে সেই ভবনেই ‘নামকাওয়াস্তে’ দেড়’শ আসনের ছোট সিনেমা হল রাখার পরিকল্পনা আছে তাদের। তবে নেপচুন নামে কোনো হল থাকছে না বলে জানান সফর আলী ভূঁইয়া।

সফর আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘এক হাজার আসনের অভিসার সিনেমা হলে প্রায় ৪০ জন স্টাফ ও ৬ জন ম্যানেজার কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে ছোট হলের জন্য ১ জন ম্যানেজার ও ৬ জন স্টাফ রাখবো।’

দেশে এক হাজার ৪৩৫টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে বন্ধ হতে হতে ১৭২টিতে নেমেছে।

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়