ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে আসি’

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:২৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
‘অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকায় অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে আসি’

অভিনেতা মহিউদ্দিন বাহার। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে কিছুটা অভিনয়ে অনিয়মিত থাকলেও সর্বশেষ ২০১৮ সালে অ্যাম্বুলেন্সে করে ইত্যাদির অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আজ ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে এ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দয়াগঞ্জের বাসা থেকে দ্রুত ইব্রাহিম ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর পাঁচটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘চলে গেলেন ইত্যাদি’র আরও একজন নিয়মিত শিল্পী মহিউদ্দিন বাহার। শুধু ইত্যাদিই নয়, আশির দশকের শুরু থেকে আমার প্রতিটি অনুষ্ঠানেই মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন নিয়মিত শিল্পী। তার সঙ্গে ছিল আমার আত্মিক সম্পর্ক। শ্যুটিং ছাড়াও প্রায় নিয়মিতই তিনি আমার অফিসে-বাসায় আসতেন, গল্প করতেন। অভিনয়কে খুব ভালোবাসতেন। ইত্যাদিতে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ২০১৮ সালের মার্চ মাসে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্বে)। সেসময়ও তিনি অসুস্থ ছিলেন, সেভাবে হাঁটাচলা করতে পারতেন না। কিন্তু অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছে থাকায় আমরা অ্যাম্বৃুলেন্সে করে তাকে নিয়ে আসি। সবাই মিলে কোলে করে তাকে দোতলায় উঠাই। অনেকদিন পর সহশিল্পীদের কাছে পেয়ে সারাদিন তাদের সঙ্গে গল্প করে কাটিয়ে দেন।’

মহিউদ্দিন বাহারকে নিয়ে হানিফ সংকেত আরো লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সহজ-সরল মানুষ। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে ২০০৫ সালে অবসর নেন এই অভিনেতা। খুব কাছ থেকে দেখেছি বলেই জানি, মহিউদ্দিন ভাই ছিলেন একজন সৎ, নীতিবান আদর্শ সরকারি কর্মকর্তা। গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তাঁর জন্য মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

৭৩ বয়সে অভিনেতা মহিউদ্দিন বাহার মারা যান। অনেক দিন ধরে হার্ট, কিডনিসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন এই অভিনেতা। আজ বাদ আসর দয়াগঞ্জে জানাজার পর সেখানকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মহিউদ্দিন বাহার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

মহিউদ্দিন বাহার ১৯৪৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সরকারের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবী হলেও তিনি নিয়মিত অভিনয় চালিয়ে গেছেন। স্কুলজীবন থেকেই বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়