ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিনেমার অনুদান বাতিলে আইনি নোটিশ

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৫:১০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
সিনেমার অনুদান বাতিলে আইনি নোটিশ

চলতি বছরে অনুদান পাওয়া ‘হৃদিতা’ সিনেমার অনুদান বাতিল ও কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার মিজানুর রহমান। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান পায় প্রযোজক এমএন ইস্পাহানি। এটি পরিচালনা করছেন আরিফ জাহান।

অনুদান পাওয়ার পর সিনেমাটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেন জাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার চিত্র প্রযোজক মো. মিজানুর রহমান। আনিসুল হকের লেখা উপন্যাস ‘হৃদিতা’। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই উপন্যাস থেকে সিনেমা নির্মাণের লিখিত অনুমতি নেন মিজানুর রহমান। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

অনিয়ম এবং অনুদানের শর্ত ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘হৃদিতা’ সিনেমার অনুদান বাতিল ও শুটিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিতের জন্য তথ্য সচিব এবং ‘হৃদিতা’ সিনেমার ‘তথাকথিত’ প্রযোজকসহ ৯ জনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মিজানুর রহমানের পক্ষে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ও ২৭ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে পাঠানো হয় ওই নোটিশ। ‘হৃদিতা’ সিনেমার জন্য ছাড়কৃত অনুদান ফেরত এবং অনুদানের মতো সরকারের মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে—‘হৃদিতা’ মূলত ‘সময়’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখক আনিসুল হকের একটি উপন্যাস। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল, ৫০ হাজার টাকা সম্মানীর বিনিময়ে প্রযোজক মিজানুর রহমানকে এককভাবে ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের লিখিত অনুমতি দেন লেখক। ওইদিন মিজানুরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাদুকাঠি মিডিয়ার অফিসিয়াল প্যাডে আনিসুল হক স্বহস্তে লিখেন—‘জাদুকাঠি মিডিয়াকে আমার উপন্যাস সময় প্রকাশনীর ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হলো।’

নোটিশে আরো বলা হয়েছে—‘হৃদিতা’ নির্মাণাধীন চলচ্চিত্র। লেখকের অনুমতি পাওয়ার পর মিজানুর ‘ড্রিমগার্ল’ নামে সিনেমাটি পরিচালনার জন্য ইস্পাহানি আরিফ জাহানকে নিয়োগ দেন, নায়ক-নায়িকা চূড়ান্ত করে তাদের সাইনিং মানি দেন। এর পরে ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে এর মহরত করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, অনুদান নীতিমালা ২০২০ অনুসারে, নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য অনুদানের জন্য বিবেচিত হয় না। তাছাড়া অনুদানের আবেদনপত্রের সঙ্গে লেখকের অনুমতিপত্র দাখিল করতে হয়। এ দুই ক্ষেত্রেই অনুদানপ্রাপ্ত ‘হৃদিতা’ সিনেমার পরিচালক বা প্রযোজক নিশ্চিতভাবে প্রতারণা ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এসব অবৈধতার কারণে ‘হৃদিতা’ সিনেমার অনুদান বাতিলযোগ্য।

প্রার্থীত বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী।

এ বিষয়ে এন ইস্পাহানি বলেন—যেভাবে বিষয়টি সুন্দরভাবে মিটমাট করা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিনেমার সঙ্গে আছি। এসব বিষয় নিয়ে সুনাম নষ্ট হোক তা একেবারেই চাই না। কেউ যদি অপচেষ্টা করে তাতে কোনো লাভ হবে না।

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়