ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিদেশি সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে অমিতাভ রেজার দুই পরামর্শ

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০১:৩৪, ২৬ নভেম্বর ২০২০
বিদেশি সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে অমিতাভ রেজার দুই পরামর্শ

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ভারতীয় সিনেমা ‘ওয়ান্টেড’। সিনেমাটি আমদানি করে ইনউইন এন্টারপ্রাইজ। এ সিনেমা ছাড়াও ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘তারে জমিন পার’ ও ‘ধুম থ্রি’ মুক্তি পায়। ২০১৫-২০১৬ সালে উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে উত্তাল ছিল চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ রাজপথ। বিদেশি সিনেমার পোস্টারও পুড়িয়েছিলেন তারা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে ঢাকাই সিনেমার নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা মানববন্ধন করেন।

এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। আবারো ভারতীয় সিনেমা দেশে মুক্তির বিষয়ে জোর আলোচনা চলছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। যারা কাফনের কাপড় পরে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছিলেন তাদের অনেকে এখন এই পরিকল্পনা করছেন। ভারতীয় সিনেমা দেশে মুক্তি পেলে দেশের ‘ভেঙে পড়া’ চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ কী হবে? এ প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন।  

এ বিষয়ে কথা বলেছেন ‘আয়নাবাজি’ সিনেমা খ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। তার মতে, তিনি বিদেশি সিনেমা আমদানির বিরুদ্ধে নন, সেটা যে দেশেরই হোক। দুটি শর্ত উল্লেখ করে অমিতাভ রেজা বলেন—বিদেশি সিনেমা আমদানি হোক কিন্তু তা একটি কাঠামোর ভেতর দিয়ে হতে হবে। এক. একটি সিনেমা হল মাসে ৩০ শতাংশের বেশি বিদেশি সিনেমা চালাতে পারবে না। মাসে মোট স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা ১০০ হলে তারা ৩০টি শো করতে পারবে বিদেশি সিনেমার। দুই. বিদেশি সিনেমা দেশি সিনেমার মতো কর মওকুফের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।

আকাশ সংস্কৃতির এই যুগে কোনো দেশে কোনো দরজাই সম্পূর্ণ অবারিত নয়। বিষয়টি উল্লেখ করে অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন—সারা পৃথিবীতেই এইভাবে লোকাল ইন্ডাস্ট্রি এবং লোকাল কর্মসংস্থানের সুরক্ষা দেওয়া হয়। সেটা মটর ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে হোক, সিনেমার ক্ষেত্রে হোক, আইপিএল হোক বা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্ষেত্রেই হোক। জগতের কোনো দরজাই সম্পূর্ণ অবারিত নয়।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়