ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মুশকান জুবেরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি: বাঁধন

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২০, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৭:০৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০
মুশকান জুবেরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি: বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন

কলকাতার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি নির্মাণ করছেন ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’। এতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অঞ্জন দত্ত এবং রাহুল বোসকেও এই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে। সৃজিতের সঙ্গে প্রথম কাজের অভিজ্ঞতা, কলকাতায় কাজের ধরন ইত্যাদি বিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন বাঁধন।

রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হলো?

বাঁধন: হঠাৎ একদিন হোয়াটস অ্যাপে নক করে সৃজিত জানান, তিনি একটি ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করতে চান। আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনি সৃজিত আমাকে কাস্ট করবেন। এর আলাদা একটি গল্প আছে, সেটা না হয় আরেকদিন বলবো। পরদিন সৃজিত একটি ছবি পাঠান। আমি সেই ছবির মতো মেকআপ নিয়ে ছবি তুলে পাঠিয়ে দেই। শুরুতে তিনি বলেছিলেন, অডিশন দিতে হবে। পরে বললেন, লাগবে না, চিত্রনাট্য পাঠাচ্ছি, আপনি রিহার্সেল শুরু করুন। এরপর আমি রিহার্সেল শুরু করি। বাংলাদেশে সিরিজটির শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এদিকে আমিও ভারতে যেতে পারছিলাম না। ফলে বাধ্য হয়ে আমার চরিত্রে পাওলি দামকে কাস্ট করা হয়। কিন্তু তার শিডিউল জটিলতা দেখা দেয়। পরে বাংলাদেশ-ভারতের দূতাবাসের সহায়তায় আমার ভিসা হয়।

রাইজিংবিডি: সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন লাগছে?

বাঁধন: তিনি গুণী নির্মাতা। মুশকান জুবেরী চরিত্রে তিনি আমাকে নিয়েছেন- এটাই অনেক বড় ব্যাপার! তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছেলে প্রধান গল্প নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু এই ওয়েব সিরিজের গল্প নারী প্রধান। এবং সেই চরিত্রটি আমি করছি। ফলে উত্তেজনা কাজ করছে। তবে তিনি আমাকে শুরু থেকেই গাইড করছেন। অনলাইনে প্রচুর রিহার্সেল করেছি।

রাইজিংবিডি: আপনার চরিত্রের বিষয়ে বলুন…

বাঁধন: আমার চরিত্রের নাম মুশকান জুবেরী। আমি এই চরিত্রের প্রেমে পড়েছি। বলতে পারেন জুবেরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। আমার মনে হয়, এই উপন্যাস যে পড়বে সে তার প্রেমে পড়বে! এমন একটি চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করে পর্দায় উপস্থাপন করতে পারা কঠিন ব্যাপার। চেষ্টা করছি, চরিত্রটি পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলার- জানি না, কতটুকু পারবো!

রাইজিংবিডি: সহশিল্পী হিসেবে অঞ্জন দত্ত ও রাহুল বোস কেমন?

বাঁধন: অঞ্জন দত্ত আমার প্রিয় একজন শিল্পী। শুধু আমার নয়, তিনি সবারই প্রিয়। কিন্তু এই সিজনে তার সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য হবে না। জানি না পরবর্তী সিজনে সেই সুযোগ পাব কিনা? তার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। আর রাহুল বোস অনেক বিখ্যাত অভিনেতা। তার অভিনয় নিয়ে বলার কিছু নেই। এই সিজনে তিনি আমার সরাসরি সহশিল্পী। দুটি এপিসোডে রাহুল বোসের সঙ্গে আমার টানা দৃশ্য রয়েছে। সহশিল্পী হিসেবে দারুণ মানুষ তিনি। সেটে একবারের জন্যও ফিল করতে দেননি, তিনি এত বড় মাপের একজন অভিনেতা। তার সঙ্গে ইনটেন্স সিন ছিল। কঠিন একটি সিক্যুয়েন্স ছিল এটি। ওই সময়ে তিনি আমাকে সহযোগিতা না করলে কোনোভাবেই এই দৃশ্য শেষ করা সম্ভব হতো না। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। এক কথায় রাহুল বোস খুবই হেল্পফুল- আমি মুগ্ধ!

রাইজিংবিডি: কলকাতার নির্মাণ শৈলী ও বাংলাদেশের নির্মাণ শৈলীর পার্থক্য বুঝতে পারছেন?

বাঁধন: আমার কাছে একই রকম লেগেছে। কিন্তু এখানকার টেকনিক্যাল সাপোর্টটা অনেক বেশি। এখানে বাজেটও বোধহয় আমাদের চেয়ে বেশি। টেকনিক্যাল সাপোর্টটা এখানে ঠিকঠাকমতো রাখা হয়, যা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে টেকনিক্যাল সাপোর্ট তুলনামূলক অনেক কম। দেশের পরিচালকরা অনেক কষ্ট করে কাজ করেন। অনেক সাপোর্ট তারা পান না, যা অপ্রত্যাশিত। আমাদের অনেক মেধাবী পরিচালক রয়েছেন, অনেক ভালো কাজ করছেন তারা। কিন্তু আমাদের বাজেট কমG

রাইজিংবিডি: ওয়েব সিরিজটি নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?

বাঁধন: যারা মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিনের এই উপন্যাস পড়েছেন, আমি নিশ্চিত তারা এটি পর্দায় দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। আর সেটা যদি নির্মাণ করেন সৃজিত মুখার্জি তবে তো কথাই নেই। দর্শক এখানে আমাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন। গত ৩ বছরে অনেকবার বলেছি, আমি নারী প্রধান গল্পে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা নির্মাতা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি কাজ আমি করেছি। এবার কলকাতার অন্যতম সেরা নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজ করছি। এখন আমি কাজটি বুঝে করতে চাই।  

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়