ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রশংসা কুড়াচ্ছে ওয়ালটনের ওভিসি

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ৬ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১১:৫৮, ৭ জানুয়ারি ২০২১

বিজ্ঞাপন পণ্যকে পরিচিত করে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে নির্মাতা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের সৃজনশীলতা। বিজ্ঞাপনের গল্প-ভাবনার সঙ্গে নির্মাণশৈলী, অভিনয় দক্ষতা, সম্পাদনা এক সুতোয় গাঁথা হলেই কাজটি প্রশংসিত হয়। সেই প্রশংসায় ভাসছে সম্প্রতি অনলাইনে প্রকাশিত ওয়ালটনের একটি ওভিসি (অনলাইন ভিডিও কমিউনিকেশন)।

বিজ্ঞাপন যদি পণ্যের সঙ্গে গ্রাহকের সেতুবন্ধন তৈরি করে তাহলে এই ওভিসিকে সফল বলতে হবে। কারণ ওয়ালটনের ওভিসির প্রধান উপজীব্য মানবিকতা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছোট ছোট আবেগ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, এমনকি একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের গল্প। যে গল্প অনেক সময় খালি চোখে ধরা পড়ে না। শক্তিশালী স্ক্রিপ্টের কারণে সেই গল্পটিও ওভিসিতে সূক্ষ্ম বয়ানে ফুটে উঠেছে।

দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার ব্র্যান্ড ‘ওয়ালটন’। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন সময় মানুষের ছোট ছোট সুখের অংশীদার হতে দেখা গেছে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটিকে। ওভিসির প্রধান চরিত্র জামান সাহেব (শ্বাশত দত্ত) মানবজীবনের সেই ছোট ছোট সুখের জন্য পেশাজীবনের চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হননি। ভয়কে জয় করেছেন। এবং এক সময় সফল হয়েছেন। এমন হাজারো মানবিক গল্পের সমষ্টিতে ওয়ালটন আজ দেশের শীর্ষ বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড।

অনলাইনে ওভিসি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই আপ্লুত হয়েছেন। অনেকে কমেন্ট বক্সে লিখছেন প্রশংসাসূচক বাক্য। নেটিজেনদের এমন মন্তব্য সামনে আরো ভালো কাজের অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন নির্মাতা আবুল খায়ের চাঁদ।

ওভিসির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন ওয়ালটনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম। এতে বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম-এর প্রকাশক ও ওয়ালটন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— বিপ্লব রহমান, মমিনুল হক দুলু প্রমুখ। পাশপাশি এতে টোকাই নাট্য দলের একঝাঁক শিশুশিল্পী অভিনয় করেছেন। টিন সেল টাউন ফিল্মসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছে অশ্রু খান।

কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফিরোজ আলম বলেন, ‘ওভিসির চিত্রনাট্য তৈরির আগে ‘মানবিকতা’ ছিল আমার মূল ভাবনা। প্রতিষ্ঠানের যে সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে সে কথাটিই আমি বলতে চেয়েছি। কেননা আমি মনে করি, সেরা ব্র্যান্ড এবং ভালো ব্র্যান্ড এক নয়। এজন্য কোয়ালিটি প্রোডাক্ট যেমন জরুরি, তেমনি মানবিক, দক্ষ কর্মীও প্রয়োজন। তবে আমি বলবো, আমাদের মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ স্যারের অনুপ্রেরণা এবং চিত্রনায়ক আমিন খানের সার্বিক তত্বাবধানে গল্পটি প্রাণ পেয়েছে। নির্মাতা সবটুকু মেধা ঢেলে যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন। শ্বাশত দত্ত চমৎকার অভিনয় করেছেন। পুরো টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়