ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আমরা যে মূল্য পাবো, তারচেয়ে বেশি পাবে জানে আলম: ফেরদৌস ওয়াহিদ

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৩ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৯:৫১, ৩ মার্চ ২০২১
আমরা যে মূল্য পাবো, তারচেয়ে বেশি পাবে জানে আলম: ফেরদৌস ওয়াহিদ

‘গতকাল গভীর রাতে আমি সংবাদটি শুনেছি। খুব কষ্ট পেয়েছি! ফিরোজ সাঁই, আজম খান, আমি, পিলু মমতাজ, এরপর ফকির আলমগীর এবং জানে আলম। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হিসেবে জানে আলম চলে গেল- ভাবতেই পারছি না!’ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শ্রোতাপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী জানে আলমের মৃত্যুর সংবাদে এভাবেই শোক প্রকাশ করেন কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। 

‘জানে আলমের কিছু বিষয় মানুষ জানে না।’ মন্তব্য করে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘যে ক’জনের নাম আমি উল্লেখ করলাম তাদের জনপ্রিয়তার মধ্যে তুলনা করলে হেরফের হতে পারে। কিন্তু সাংস্কৃতিক যে মূল্যায়ন সে ক্ষেত্রে জানে আলম কারো চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বরং কিছু জায়গায় বেশি।’  

উদাহরণ দিয়ে এই সংগীতশিল্পী আরো বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমাকে ও ফিরোজ সাঁইকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে গান গাইয়েছিল জানে আলম। তখন এসব প্রথা ছিল না। আমরাই জানতাম না, মানুষও জানত না। একমাত্র যাত্রায় এটা ছিল। জানে আলম যে টাকার জন্য, তার নিজের ভাগ্য খোলার জন্য এসব করেছে তা আমি কখনো বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বাস করি না। কারণ এগুলো ওই সময়ে ছিলই না।  কাজগুলো জানে আলম করেছে ভালোবেসে, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড করার জন্য। আমার ধারণা, ও পকেট থেকেও টাকা খরচ করত। শুধু এই কনসেপ্ট গড়ে তোলার জন্য। এটা ওর ভালোবাসা।’

‘পপ শিল্পী’র তকমা জড়ালেও জানে আলমের বেশিরভাগ গান আধ্যাত্মিক-পল্লী ঘরানার আধুনিক। অসংখ্য গান তাঁর শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘জানে আলম আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান করেছি আমি, ফিরোজ সাই ও আজম খান। সে ‘দোয়েল’ নামে একটি রেকর্ডিং কোম্পানিও খুলেছিল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিল্পীর জন্ম হয়েছে। ফলে আমরা সবাই যে মূল্য পাব, তারচেয়ে একটু হলেও বেশি পাবে জানে আলম। কারণ সে শুধু গান করে নাম করেনি, বরং পেছনে থেকেও কিছু কাজ করেছে, যা সমাজে সাংস্কৃতিক গতি বাড়াতে সাহায্য করেছে- এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম।’  
 

ঢাকা/তারা

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়