ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মাহি অপুর ডিভোর্সের পরেও বন্ধুত্ব: সম্পর্কের নয়া ফরমুলা

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ২৬ মে ২০২১   আপডেট: ০৭:৫৩, ২৭ মে ২০২১
মাহি অপুর ডিভোর্সের পরেও বন্ধুত্ব: সম্পর্কের নয়া ফরমুলা

কথায় বলে- নারীর মন, শ্রাবণের মেঘ- এই রোদ, এই বৃষ্টি। তাহলে নায়িকার মন কি বৈশাখের ঘূর্ণিঝড়- যার গতিপ্রকৃতি বোঝা দায়? মাহি-অপু দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘটনায় নেটিজেনরা এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গত ২২ মে রাতে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেন। এরপরই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিকে হার মানিয়ে অপু-মাহির বিচ্ছেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই বিনোদন সাংবাদিকরা লুফে নেন এই খবর। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু অপু যখন বলেন, ‘আমাদের এখনো বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’ তখনই তৈরি হয় ধুম্রজাল। জাল আরো জটিলতা তৈরি করে যখন মাহি গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগেই আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।’

এবার অপু-মাহির বিপরীতমুখী বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সঙ্গে যুক্ত হয় অযুত-নিযুত ভক্তের কৌতূহল- খবরটি দুই বছর চেপে রাখা হয়েছিল কেন? কেনই-বা এখন মাহি সেটি প্রকাশ্যে আনলেন? অপুই-বা কেন এখনও বিষয়টি স্কীকার করতে চাইছেন না? তারচেয়েও বড় কথা- দুই বছর আগেই যদি বিচ্ছেদ হয়, তারপরও দুজনের একসঙ্গে স্বাভাবিক ঘুরে বেড়ানো কি আইনসঙ্গত?

এই প্রশ্নের উত্তর মাহি-অপু কেউ-ই দেননি। নায়ক-নায়িকাদের প্রেম-বিয়ে-সংসার সবসময়ই সিক্রেট। যদিও মাহি সবাইকে জানিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাহি এ কথাও বলেছেন, গাড়ি নিয়ে চা বাগানে ঘুড়তে গিয়ে মাহির অপুর প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়। সেদিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন অপু। সামনে লুকিং গ্লাস ছিল। মাহির হঠাৎ করেই লুকিং গ্লাসে চোখ পড়ে। মাহির বক্তব্য: ‘দেখেই কেন জানি ভালো লেগে গেল। বলা যায় সেদিন লুকিং গ্লাসে দেখেই আমি অপুর প্রেমে পড়েছি।’

অর্থাৎ ভালোবাসার প্রস্তাব মাহি দিয়েছিলেন অপুকে। ডিভোর্সের প্রস্তাবও এসেছে মাহির পক্ষ থেকেই। বিচিত্র নারী মন! যদিও এখন দুজনেই মনে করেন, ডিভোর্সের পরেও দুজনের চমৎকার সম্পর্ক রাখা সম্ভব। এতেও নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন। ইন্তেজার নামে একজন লিখেছেন: ‘... তোমরা বিয়ে, ডিভোর্সকে এমন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছো যে, কয়েকদিন আগে এক নায়িকাকে বলতে শুনলাম, ডিভোর্স হয়েছে তাতে কি? আমরা বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে পাশে থাকব। কী কী সব নয়া ফরমুলা আবিষ্কার করো!’ 

জীবনের গল্প সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বড়। সিনেমার পাত্র-পাত্রীদেরই এ কথা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারার কথা। কিন্তু তারা নিজেরাই যখন নাটকের উপজীব্য হন তখন বিস্মিত হতে হয় বৈকি। এ ক্ষেত্রে লোক হাসানো মানে নিজেরই অপমান নয়, পুরো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিরও দুর্নাম। ডিভোর্স সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি সম্মান ধরে রাখা সম্ভব। এটি তখনই অসম্ভব হয়ে ওঠে যখন পরিস্থিতি নিজের মুঠো ফসকে বেরিয়ে যায়। মাহির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

মাহি-অপুর পারস্পরিক সম্মান মনের মধ্যে পোষণ করে, নিজেদের মর্যাদা অটুট রেখে, সামনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। নাটকীয়তার এখানে কোনো প্রয়োজন নেই। 

ঢাকা/তারা

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়