বিয়ে করলেন ‘ভণ্ড’খ্যাত নায়িকা তামান্না

শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত তুমুল জনপ্রিয় ‘ভণ্ড’ সিনেমার নায়িকা তামান্না অনেক আগেই চলচ্চিত্র ছেড়ে দেশান্তরী হয়েছেন। নায়ক রুবেলের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করা এই নায়িকা গুজরাটের এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন।

রুপালি জগতকে বিদায় জানিয়ে অনেক আগেই সুইডেন স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তামান্না। স্টকহোম থেকে গণমাধ্যমে বিয়ের খবর জানিয়ে তামান্না বলেন, ‘নতুন জীবন, নতুন পরিকল্পনা; একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি। পরিবারের সবার পছন্দের একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি, এটাই বেশি ভালো লাগছে।’

গুজরাটের এক মুসলিম পরিবারের সন্তান তামান্নার স্বামী মোহাম্মদ দাইয়া। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। দুই বছর আগে দাইয়ার সঙ্গে তামান্নার পরিচয় হয়। কিছুদিন আগে তামান্নার মা মারা যান। দাইয়ার সঙ্গে তামান্না তার মাকে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলেন। মা চলে গেলেও সেই মায়ের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেছেন তামান্না। গত ২৬ নভেম্বর সুইডেনে বসবাসরত এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তামান্নার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

তামান্না বলেন, ‘বিধাতার কাছে শুকরিয়া, আমি খুব সুন্দর মনের একজন মানুষকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, যে আমার ভীষণ খেয়াল রাখে, ভালোবাসে। দাইয়া মানুষ হিসেবে সত্যি ভীষণ ভালো মনের। গেল দুই বছরে আমি তা বেশ উপলব্ধি করতে পেরেছি। আম্মা বেঁচে থাকলে হয়তো খুব খুশি হতেন।’

আগামী বছর মোহাম্মদ দাইয়াকে নিয়ে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা করেছেন তামান্না। দেশের প্রিয় জায়গাগুলো ঘুরে বেড়াবেন বলেও জানিয়েছেন এই নায়িকা।

তামান্নার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তার। ওই সংসারে দুজন সন্তানও রয়েছে।

তামান্না চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য নন। শিল্পী সমিতির নেতাদের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ নেই বলে জানান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

তামান্না হাসিন হুদা শৈশব থেকেই পরিবারের সঙ্গে সুইডেন থাকেন। সেখানেই পড়ালেখা করেছেন। ক্লাস এইটে পড়ার সময় ১৯৯৫ সালে দেশে বেড়াতে এসে আফজাল হোসেনের নির্মাণে স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্কের মডেল হন। এর পরই ‘ত্যাজ্যপুত্র’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে তার অভিষেক হয়। তবে অভিনেত্রী তুমুল জনপ্রিয়তা পান শহিদুল ইসলাম খোকনের ‘ভণ্ড’ (১৯৯৮) সিনেমায় রুবেলের নায়িকা হয়ে।

২০০৩ সালে সুইডেন ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত টানা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এ সময় তাকে দেখা গেছে ‘হৃদয়ে লেখা নাম’, ‘কঠিন শাস্তি’, ‘সন্ত্রাসী বন্ধু’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’, ‘অশান্তির আগুন’  ‘মুখোশধারী’-এর মতো বেশ কিছু সফল সিনেমায়। সুইডেন ফিরে গিয়ে ফের পড়াশোনায় মন দেন তিনি। পড়েছেন দন্ত চিকিৎসাবিদ্যায়। ২০১১ সালে ফের দেশে বেড়াতে এসে অভিনয় করেন ‘পাগল তোর জন্য’ সিনেমায়। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি তার অভিনীত শেষ সিনেমা।