ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দক্ষিণী তারকাদের আলোচিত ডিভোর্স

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৫:৫৩, ১৮ জানুয়ারি ২০২২
দক্ষিণী তারকাদের আলোচিত ডিভোর্স

ভালোবেসে বিয়ে ও এরপর বিচ্ছেদ চলচ্চিত্র জগতের তারকাদের জীবনে নতুন কিছু নয়। শোবিজ অঙ্গনে এমন ঘটনা অহরহই ঘটে।

সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন। ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের সঙ্গে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি। এছাড়া কয়েক মাস আগে দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করেন অভিনেতা নাগা চৈতন্য ও অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।

তবে আগেও ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অনেক বড় তারকাদের ডিভোর্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলুন জেনে নিই তাদের গল্প।

 (বাঁ থেকে) বাণী গণপতি ও কমল হাসান, কমল হাসান ও সারিকা

কমল হাসান: 
ভারতের তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসান। মাত্র ২৪ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী বাণী গণপতিকে বিয়ে করেন। কিন্তু দশ বছর পর তাদের ডিভোর্স হয়। বাণীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর অভিনেত্রী সারিকার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন এই অভিনেতা। ১৯৮৬ সালে বড় মেয়ে শ্রুতি হাসানের জন্মের পর (১৯৮৮ সালে) বিয়ে করেন তারা। ১৯৯১ সালে তাদের ছোট মেয়ে অক্ষরা হাসানের জন্ম হয়। তবে ২০০২ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন তারা। ২০০৪ সালে তাদের ডিভোর্সের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এদিকে পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সাল থেকে অভিনেত্রী গৌতমীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কমল হাসান। ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

লক্ষ্মী দাগ্গুবতী, নাগার্জুনা আক্কিনেনি ও অমলা অক্কিনেনি

নাগার্জুনা:
ভারতের তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। পারিবারিকভাবে লক্ষ্মী দাগ্গুবতীকে বিয়ে করেছিলেন। লক্ষ্মী ছিলেন প্রযোজক ডি. রামানাইড়ুর মেয়ে। নাগার্জুনার বাবার সঙ্গে ডি. রামানাইড়ুর বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিল। ১৯৮৪ সালে তাদের বিয়ে হয়। এরপর তাদের ঘরে আসে নাগা চৈতন্য। কিন্তু বিয়ের ছয় বছরের মাথায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন নাগার্জুনা ও লক্ষ্মী।

এদিকে ডিভোর্সের দুই বছর পর অমলা অক্কিনেনিকে বিয়ে করেন নাগার্জুনা। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমাতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। পর্দার পাশাপাশি বাস্তবে তাদের মধ্যে রসায়ন তৈরি হয়। এই দম্পতির সন্তান অখিল অক্কিনেনি।

(ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে) প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পবন কল্যাণ

পবন কল্যাণ:
সিনেমায় পা রাখার এক বছর পরই নন্দিনিকে বিয়ে করেন পবন কল্যাণ। শোনা যায়, পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন তারা। পরের বছর তা চূড়ান্ত হয়।

এদিকে নন্দিনির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রী রেনু দেশাইয়ের সঙ্গে লিভ টুগেদার করতেন পবন। এমনকি ২০০৪ সালে তাদের ছেলে আকিরা নন্দনের জন্ম হয়। প্রায় আট বছর একসঙ্গে থাকার পর ২০০৯ সালে তদের বিয়ে হয়। পরের বছর তাদের মেয়ে জন্ম নেয়। ২০১২ সালে তাদের ডিভোর্স হয়েছে। ২০১৩ সালে রাশিয়ান মডেল-অভিনেত্রী অ্যানা লেজনেভাকে বিয়ে করেন পবন। এই দম্পতির দুই সন্তান।

গায়াত্রী ও অপর্ণা মুখার্জির সঙ্গে অরবিন্দ

অরবিন্দ স্বামী:
জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা অরবিন্দ স্বামী। ১৯৯৪ সালে গায়াত্রীকে বিয়ে করেন।তাদের দুই সন্তান। ২০০৩ সাল থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। ২০১০ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। ২০১২ সালে অপর্ণা মুখার্জিকে বিয়ে করেন অরবিন্দ।

নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু

নাগা চৈতন্য:
‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। তারপরই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারা। এরপর লুকিয়ে দীর্ঘদিন প্রেম করেন এই জুটি। সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি রিসোর্টে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নাগা-সামান্থা। গত বছর চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর কয়েকদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন তারা।

ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত ও ধানুশ

ধানুশ:
ভালোবেসে ২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তকে বিয়ে করেন ধানুশ। তাদের দুই ছেলে— যাত্রা রাজা ও লিঙ্গা রাজা। বিয়ের ১৮ বছর পর গতকাল (১৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন এই জুটি।

ঢাকা/মারুফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়