ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘বিষয়টা নিয়া বলতেছি কারণ এখানে আমার মেয়ে জড়িত’

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১৮ মে ২০২২   আপডেট: ১৯:১৫, ১৮ মে ২০২২
‘বিষয়টা নিয়া বলতেছি কারণ এখানে আমার মেয়ে জড়িত’

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতের একটি ফ্লাইটে চার মাসের কন্যা ইলহামকে সঙ্গে নিয়ে ফ্রান্সে উড়ে গেছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতেই তার এই সফর। এ যাত্রায় তিশার সঙ্গী হয়েছেন তার স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ‘বেবিসিটার’ হিসেবে ফ্রান্সে গিয়েছেন এই নির্মাতা। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু এ নিয়ে নেটিজেনদের নানা মন্তব্য আহত করেছেন তাকে।  

শুরুতে বিষয়টিকে তেমন পাত্তা দেননি ফারুকী। কিন্তু আজ বিকালে এ নিয়ে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লেখার শুরুতে ফারুকী বলেন—‘আমি অনলাইনে ছড়ানো কথাবার্তার উত্তর দেওয়া বন্ধ করছিলাম অনেক আগে। কারণ এইটা হইলো সময় এবং এনার্জি নষ্টের মোস্ট প্যাথেটিক ওয়ে। এর ভালো দিক হচ্ছে জীবন শান্ত সুন্দর হয়। আর একটা খারাপ দিক হচ্ছে, অনেক আজাইরা কথা বারবার উচ্চারিত হইতে হইতে সত্যের মতো রূপ ধারণ করে। আজকে এই বিষয়টা নিয়া বলতেছি কারণ এখানে আমার মেয়ে জড়িত। যখন আপনাকে কেউ বুঝিয়ে দেবে আপনি আপনার মেয়ের জন্য যথেষ্ট করছেন না, তখন কেমন রাগ লাগতে পারে বলেন?’

যেকোনো মানুষ এখন যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে থাকেন। তা স্মরণ করে ফারুকী বলেন, ‘‘বেবিসিটিং’ কথাটার জোক নিয়া ব্যাপারটা এত দূর গড়াইছে যে, কেউ কেউ আগ বাড়াইয়া শিক্ষাও দিচ্ছে যে বাচ্চা বড় করা মায়ের একা দায়িত্ব না। আপনি পিতৃতান্ত্রিকতা থেকে বের হয়ে আসেন। আই মিন সিরিয়াসলি পিপল! দুনিয়াটা এক আজব জায়গা হয়ে গেছে। এখানে যে কেউ যে কোনো বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারে। আমার ইনবক্স প্রিন্ট করলে এটা মোটামুটি একটা টেক্সটবুক হয়ে যাবে। আমাদের ঘরের ভেতর কি হয়, বাচ্চা বড় করার ক্ষেত্রে কার কি রোল-এসব না জেনেই আমরা শিক্ষকের ভূমিকায় বসে যাই।’’

বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হলিউড বা বলিউডের মতো অর্থ বা সাপোর্ট সিস্টেম পায় না। ফলে একজন অভিনেত্রী মা হওয়ার পর তার কাজে ফিরতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু তিশা বেশি দিন কাজ থেকে দূরে থাকতে চাননি বলে জানান ফারুকী।

‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘‘আমিও চাই না তিশা কাজ থেকে দূরে থাকুক। ফলে ওর কোনো কাজ আসলে আমি আমার কাজ বন্ধ করে ইলহামকে অ্যাটেন্ড করতে চাই। কিন্তু মুশকিল হলো প্রোডাকশনগুলো এই বাড়তি হ্যাপা নেয়ার জন্য খুব যে তৈরি তা বলা যাবে না। তারপরও কাজের বা ট্যুরের কথা আসলে, তিশা বলে, ‘আমাদের বেবিসিটার নিতে দিতে হবে। বেবিসিটারের জন্য ভ্যান বা টিকিট বা হোটেলের ব্যবস্থা করতে হবে যতদিন না ইলহাম কিছুটা শক্ত সামর্থ্য হচ্ছে।’ আমি সব সময় হাসিমুখে বলি, বেবিসিটার কোঠায় আমাকে ইনক্লুড করো আর তা করে বলেই আমি যাচ্ছি।’’

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘বাচ্চা বড় করার দায়িত্ব মায়ের একা এটা কোথায় পাইছেন? আমার আগের লেখাটা ধরে কেউ কেউ বলছে, কেন আপনি নিজেকে হেল্পিং হ্যান্ড বলছেন? ভাইরে ভাই, জীবনে কিছুটা বিনয় ভালো। আমি চব্বিশ ঘণ্টা বাচ্চাকে অ্যাটেন্ড করলেও সেটা বড় করতে রাজি না। আর চব্বিশ ঘণ্টা অ্যাটেন্ড করলেও আমার কাছে এই মুভির স্টারিং রোল অলওয়েজ মা। বাবা কেবল সাপোর্টিং রোলের ক্রেডিটই পাইতে পারে। ঈশ্বর আমাদের ধৈর্য দিন, আমিন।’

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়