সাইফের ওপর হামলা: শেহজাদকে ছেলে দাবি ঝালকাঠির রুহুল আমিনের
ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ (বামে), সাইফ আলি খান (ডান)
ভারতীয় অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে নিজের ছেলে দাবি করেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন ফকির।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন শেহজাদের যোগাযোগ নেই। শুনেছি, সে ভারতে আটক হয়েছে। কিন্তু কবে, কীভাবে ভারতে গেছে জানি না।’’
এ সময় সাইফ আলি খানের ওপর হামলার অভিযোগে শেহজাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘খারাপ কাজ করলে শাস্তি পাক, সেটা আমিও চাই।’’
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘রুহুল আমিনের ছেলে শেহজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানা এবং ঢাকায় হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।’’
তবে, সাইফ আলী খানের ওপর হামলার অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ রুহুল আমিনের ছেলে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
শান্ত আমিন নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে শেহজাদের যোগাযোগ ছিল না। এলাকায় থাকাকালীন তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।’’
মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লাররহাট স্টিল ব্রিজের কাছে খুন হন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় রুহুল আমিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আসামি করা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে তিনি। এছাড়া, শেহজাদ ছিনতাই, চুরি ও মারামারির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।’’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।
একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর সাধারণ বেডে স্থানান্তর করা হয় সাইফকে। পরে সেখান থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেহজাদকে। গ্রেপ্তারের পরই মুম্বাই পুলিশ দাবি করে, “শেহজাদ বাংলাদেশের নাগরিক।” কিন্তু, শেহজাদের আইনজীবী দাবি করেন, “এ তথ্য সত্য নয়, মামলাটিকে পরিবর্তন করে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছে পুলিশ।”
ঢাকা/অলোক/রাজীব