ঢাকা     রোববার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হাসপাতালে নচিকেতা

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৫:৩৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
হাসপাতালে নচিকেতা

নচিকেতা

অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার জীবনমুখী গানের সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীকে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে নচিকেতার। যার ফলে বুকে দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গায়কের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। 

আরো পড়ুন:

নচিকেতার কন্যা ধানসিঁড়ি চক্রবর্তী অন্য একটি গণমাধ্যমে বলেন, “বাবার শরীর এমনি ভালোই ছিল। অনেকগুলো অনুষ্ঠানও করেছেন। হঠাৎই শরীর খারাপ হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমরা এক মুহূর্তও দেরি করিনি। ফলে তেমন সমস্যা হয়নি। হার্টের একটা সমস্যা হচ্ছিল। তবে এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছে।” 

গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নচিকেতাকে ভর্তি করানো হয়। এই মুহূর্তে গায়কের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রবিবারও (৭ ডিসেম্বর) তার অনুষ্ঠান ছিল; যা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকের পরামর্শে আগামী বেশ কয়েকটি শো-ও বাতিল করা হয়েছে। 

জীবনমুখী গান গেয়ে নব্বই দশকে দুই বাংলায় জনপ্রিয়তা পান নচিকেতা। তার জন্ম ১৯৬৪ সালে। পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ায়। পড়াশোনা করেছেন উত্তর কলকাতার মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে। ছোটবেলা থেকেই গান লিখতেন, সুর করতেন এই গায়ক। 

১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় নচিকেতার প্রথম অ্যালবাম ‘এই বেশ ভালো আছি’। এরপর ধারাবাহিকভাবে উপহার দেন—‘কে যায়’ (১৯৯৪), ‘কি হবে’ (১৯৯৪), ‘চলে যাব তাকে নিয়ে’ (১৯৯৬), ‘কুয়াশা যখন’ (১৯৯৭), ‘আমি পারি’ (১৯৯৮), ‘দলছুট’ (১৯৯৯), ‘দায়ভার’ (২০০০), ‘একলা চলতে হয়’ (২০০২), ‘এই আগুনে হাত রাখো’ (২০০৪), ‘আমার কথা আমার গান’ (২০০৫), ‘তীর্যক’ (২০০৭), ‘এবার নীলাঞ্জনা’ (২০০৮), ‘হাওয়া বাদল’ (২০১০), ‘সব কথা বলতে নেই’ (২০১২), ‘দৃষ্টিকোণ’ (২০১৪), ‘আয় ডেকে যায়’ (২০১৫), ‘বেঁচে থাকার মানে’ (২০১৭) প্রভৃতি। 

তাছাড়া বেশ কয়েকটি যৌথ অ্যালবাম নিয়েও কাজ করেছেন নচিকেতা। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে—‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে’, ‘অনির্বাণ’, ‘কুয়াশা যখন’, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’, ‘ডাক্তার’ প্রভৃতি।

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে কণ্ঠে অনেক গান তুলছেন। চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন নচিকেতা। ১৯৯৮ সালে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্ম প্রকাশ করেন নচিকেতা। এরপর ‘খেলাঘর’ (১৯৯৯), ‘সমুদ্র সাক্ষী’ (২০০৪), ‘গো ফর গোল’ (২০০৯) প্রভৃতি সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন তিনি।

কেবল তাই নয়, বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন নচিকেতা। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো, ‘এই বেশ ভালো আছি’ (১৯৯৩), ‘কে যায়’ (১৯৯৪), ‘কুয়াশা যখন’ (১৯৯৭), ‘খেলা’ (২০০৮), ‘কাটাকুটি’ (২০১২) প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়