ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

হতাশা থেকে উদ্যোক্তা স্নিগ্ধা

মিফতাউল জান্নাতি সিনথিয়া || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২৭ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৪:১২, ২৭ অক্টোবর ২০২০
হতাশা থেকে উদ্যোক্তা স্নিগ্ধা

ঢাকার মিরপুরে থাকেন আতিয়া ফেরদৌস স্নিগ্ধা। তিনি পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশায়ও যুক্ত ছিলেন। স্বামীর সংসারে এক সন্তানের জননীও তিনি। করোনাকালীন সময়ে হতাশা থেকে হয়ে ওঠেছেন একজন পেশাদার উদ্যোক্তা। মাত্র পাঁচ মাসে নিজের ফেসবুক পেজকে কাজে লাগিয়ে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন। 

পরিবার সচ্ছল হলেও প্রতিটি মেয়েই চান আর্থিক স্বাধীনতা ও নিজে স্বাবলম্বী হতে। বাচ্চার দেখাশুনার জন্যই চার বছরের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দেন। চাকরি ছেড়ে ঘরে বসে হতাশা আর দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় উদয় হয় নিজের একটা পরিচয়ের জন্য অন্তত উদ্যোক্তা হতে হবে তাকে।

‘শাড়িতেই নারী’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে স্নিগ্ধা কাজ করছেন দেশীয় শাড়ি নিয়ে। তাঁতের শাড়ি, পাট ও সিল্কের শাড়ি অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে তার নিজের হাতে নকশা করা কাঠের গহনা, ঘর সাজানোর কাঠের আসবাবপত্র ও বাচ্চাদের পোশাক।

স্নিগ্ধা বলেন, ‘নিজের কিছু থাকবে এই স্বপ্ন থাকলেও কী থেকে কী করবো, এজন্য শুরু করতে সাহস পাইনি। ফেসবুক গ্রুপ উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স) ফোরাম থেকেই আমার ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। অন্য সফল নারী উদ্যোক্তাদের কথা শুনে ও উইর উপদেষ্টা জনাব রাজীব আহমেদের অনুপ্রেরণায় এক পা, দু’পা করে নিজেই খুলে ফেললাম ফেসবুক পেজ। কোনো রকম বুস্টিং ছাড়াই ব্যাপক সাড়া পেলাম।’ 

‘উদ্যোক্তা হতে গেলে আগে সেই পণ্য সম্পর্কে জানার কোনো বিকল্প নেই। আর সেই পণ্য নিয়ে পড়াশুনা বা জানতে সহায়তা করেছে উই গ্রুপ’, বলেন তিনি।  

তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে গেলে, আগে সেটার গোড়া বা শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। এই বিশ্বাস নিয়েই ব্যবসার শুরুতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমি দিনের পর দিন জেলায় জেলায় হন্য হয়ে ছুটে বেড়িয়েছি। বাঁধা-বিপত্তি তেমন ছিল না, কেননা পরিবারের সহযোগিতা ছিল শতভাগ।’  

হতাশা যেখানে অস্থিরতার কারণ হওয়ার কথা, সেই হতাশাকেই শক্তিতে রূপান্তর করে স্নিগ্ধা হয়ে ওঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। মাত্র ১৫০০ টাকা মূলধন পাঁচ মাসে লক্ষাধিক হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যবসাই হবে তার একমাত্র পেশা।

লেখক: শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। 

ঢাকা/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়